নয়াদিল্লি: মধ্য প্রাচ্য থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির সুবিধা পাবে ভারত। অন্তত আমেরিকার মধ্যস্থতায় এই সুবিধা পেতে নয়াদিল্লির কোনও সমস্যা হবে না। সোমবার এক প্রকাশ্য বিবৃতিতে একথাই বলেন, এখানকার ইউএস অ্যাম্বাসাডার কেনেথ জাস্টার।নর্থ ব্লকে মার্কিন বাণিজ্য সচিব উইলবার রসের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির ইতিবাচক বৈঠকের পরেই সাংবাদিকদের কাছে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান জাস্টার।
ইরানের থেকে প্রতিবছর এক বিরাট অংকের অপরিশোধিত তেল কেনে ভারত। চিনের পরে ক্রেতা হিসেবে ভারতের নামই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছ। সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশিকায় জানা যায়, ইরান সন্ত্রাসবাদের মদত দাতা তাই কোনও দেশই তেহরান থেকে সরাসরি তেল কিনতে পারবে না। মার্কিন প্রশাসনের এহেন ঘোষণার পরেই বেশ বিপাকে পড়ে যায় নয়াদিল্লি, শুরু হয় আলাপ আলোচনা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, বড়সড সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত তেহরান। এর আগেও বার বার ট্রাম্পের নিশানায় পড়েছে ইরান। এবার সাফ দাবি, বন্ধু রাষ্ট্র ভারতও ইরান থেকে তেল কিনতে পারবে না। কেন না আমেরিকা এই বিকিকিনির অনুমতি দেবে না। এতেই বিপাকে পড়ে যায় নয়াদিল্লির সাউথ ব্লক। দীর্ঘ আলোচনার পর এদিন সমাধানের আশ্বাস পেয়ে স্বস্তির শ্বাস ফেলেছে ভারত। নয়া ব্যববস্থা কার্যকর হলে কমবে তেলের দাম, অনুমান পর্যবেক্ষক মহলের৷
জানা গিয়েছে, সৌদি আরব বা সংযুক্ত আরব আমীরশাহীর যেকোনও দেশ থেকেই অপরিশোধিত তেল কিনতে পারবে ভারত। আর এক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিচ্ছে স্বয়ং আমেরিকা। ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্টের প্রসঙ্গ নিয়েও সুরেশ প্রভুর সঙ্গেও একপ্রস্থ আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন রস।
চলতি মাসের দু’তারিখেই ট্রাম্প প্রশাসন ফরমান জারি করে, ইরান থেকে অপরিশোধিত তেল নিতে পারবে না নয়াদিল্লি। এদিকে ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে প্রায় ২৪ মিলিয়ন টন তেল নেওয়ার বিষয়টি আগেই তেহরান প্রশাসনের সঙ্গে পাকা করে রেখেছিল নয়াদিল্লি। ট্রাম্পের এই ঘোষণা তাতে সমস্যার সৃষ্টি করে বিপাকে পড়ে দরবার শুরু করে সাউথ ব্লক। দরবারে সন্তুষ্ট হয়ে আমেরিকার বক্তব্য, ভারত মধ্যপ্রাচ্য থেকে নিশ্চই তেল পাবে, তবে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমীরশাহীর কোনও দেশ থেকে, ইরান নয়।