ইস্তানবুল: মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে চিত্র বদলে গিয়েছে তুরস্কের জন্য। পরপর ভূমিকম্পে কার্যত ধুলোয় মিশতে চলেছে দেশ। তুরস্ক এবং সিরিয়ার অধিকাংশ অঞ্চল এখন প্রায় ধ্বংসস্তূপ। রবিবার ফের তুরস্কে ভূমিকম্প হয়েছে। এই অবস্থায় যারা প্রাণ বেঁচেছেন এবং আটকা পড়ে গিয়েছেন দেশের বিভিন্ন জায়গায়, তারা পালিয়ে যেতে চাইছে অন্যত্র। নিরাপদ স্থানের উদ্দেশ্যে তারা রাতারাতি নিজেদের জায়গা ছেড়ে দিচ্ছেন। আর এই পরিস্থিতিতে মানবিক হয়েছে দেশের একাধিক বিমান সংস্থাগুলি। তারা এইসব মানুষদের জন্য বিনামূল্যে বিমান পরিষেবা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
গত সপ্তাহের সোমবার ভোররাতে প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক এবং সিরিয়া। তারপর লাগাতার প্রায় ৫ বার ভূমিকম্প হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই মৃত্যুর সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে এবং আহতের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। তাই যারা কোনও ভাবে প্রাণে গিয়েছেন বা যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে তারা নিজেদের বাসস্থান বা এলাকা ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে চাইছেন। তাই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে টার্কিশ এয়ারলাইন্স, পেগাসাস এয়ারলাইন্সের মতো বিমান সংস্থা। ঘোষণা করা হয়েছে, এইসব মানুষদের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে বিনামূল্যে বিমান পৌঁছে দেবে দেশের রাজধানী আঙ্কারায়। অন্যদিকে আবার ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকা থেকে দলে দলে চলে আসা দুর্গতদের জন্য তুরস্কের বিভিন্ন শহরে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল খুলে দেওয়া হয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”কোথাও ধ্বংসস্তুপের নীচে মৃত সন্তানের হাত ধরে বাবা! Devastating pictures emerging from Turkey” width=”560″>
উল্লেখ্য, রবিবার ফের নতুন করে ভূমিকম্পে কেঁপে কাহরামানমারাস শহর ও সংলগ্ন অঞ্চল। গত সপ্তাহের ভূমিকম্পে কার্যত মৃত্যুপুরী তুরস্ক৷ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েথে পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়া। রবিবার রাত ১২টা বেজে ৩ মিনিটে ভূমিকম্প হয়৷ ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল তুরস্কের কাহরামানমারাস শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে৷ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.৭।