প্যারিস: পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় ভারতসহ অর্ধেক বিশ্বে। একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে সাংবাদিকদের ফোনে আড়িপাতার ঘটনা এখন রীতিমতো চাঞ্চল্য গোটা দেশে। ভারতে সমস্ত বিরোধী দলগুলি একযোগে আক্রমণ করছে কেন্দ্রীয় সরকারকে যদিও কেন্দ্রের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে এটা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। তবে এবার এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করতে চলেছে ফ্রান্স প্রশাসন। জানা গিয়েছে, ফরাসি সাংবাদিকদের ফোনে আড়িপাতা নিয়ে বিশেষ তদন্ত শুরু হচ্ছে সে দেশে।
ফ্রান্সের তরফে অভিযোগ, মরক্কোর গোয়েন্দা সংস্থা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নজরদারি চালিয়েছে ফরাসি সাংবাদিকদের ফোনে। সেই প্রেক্ষিতেই ব্যক্তিগত পরিসরে অবৈধ প্রবেশ থেকে শুরু করে আড়ি পাতা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মত ১০ টি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, পেগাসাস স্পাইওয়্যার হল ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও-র তৈরি একটি সফটওয়্যার৷ যা মূলত ফোনে আড়ি পাতার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে৷ শুধু ফোনে কথোপকথনই নয় হোয়াটসঅ্যাপে কী লেখা হচ্ছে, সে বিষয়েও এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে জানা যায়৷ এমনকী যে ফোনটি হ্যাক করা হয়েছে সেই ফোনে কী তথ্য বা ছবি রয়েছে সেটাও দেখা যায়৷ অথচ যাঁর ফোন হ্যাক করা হয়েছে, তিনি কিছু বুঝতেই পারবেন না৷
আরও পড়ুন- উপনির্বাচনের প্রস্তুতি? হঠাৎ শহরের কোভিড টিকাকেন্দ্র পরিদর্শনে মমতা
সফটওয়্যার ব্যবহার করে ভারতের একাধিক বিরোধী দলনেতা, মন্ত্রী সহ ৪০ জনেরও বেশি সাংবাদিক, শিল্পপতি, সমাজকর্মী ও বিচারপতিদের ফোনে আড়ি পাতার মত ঘটনা ঘটেছে। তালিকায় একদিকে যেমন রয়েছেন, ‘হিন্দুস্তান টাইমস’, ‘ইন্ডিয়া টুডে’, ‘নেটওয়ার্ক ১৮’, ‘দ্য হিন্দু’ সহ একাধিক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকরা, অন্যদিকে রয়েছেন, রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর, বিখ্যাত ভাইরোলজিস্ট গগণদীপ ক্যাঙের মত ব্যক্তিত্ব। যারা এটি নিয়ন্ত্রণ করে তাঁরা নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনে একটি লিংক পাঠায়। সেটিতে জেনেশুনে তো বটেই, অজান্তে ক্লিক করে ফেললেই ফোনে পেগাসাস ইনস্টল হয়ে যায়। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই ফোনের যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ চলে যায় হ্যাকারদের হাতে। শুধু ফোনে কথোপকথনই নয় হোয়াটসঅ্যাপে কী লেখা হচ্ছে, সে বিষয়েও এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে জানা যায়৷