বাবা মা নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত, গাড়ি চালিয়ে নিজেই পার্কে গেল চার বছরের খুদে

বাবা মা নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত, গাড়ি চালিয়ে নিজেই পার্কে গেল চার বছরের খুদে

বাবা ব্যস্ত অফিসের কাজে, আর মা সারাদিনের কাজ শেষ করে দুপুরবেলা সবে দু’চোখের পাতা এক করেছেন। কিন্তু বড়দের কাজের এই ফিরিস্তি চার বছরের খুদের মাথায় ঢুকবে কী করে। সে তো তার নিজের দুনিয়াতেই ব্যস্ত. আর তাই দুপুরবেলায় মা দু’চোখের পাতা এক করতে নিজেই পার্কে গিয়ে খেলার ব্যবস্থা করে ফেলল নেদারল্যান্ডসের বাসিন্দা চার বছরের এক খুদে। জানা যাচ্ছে, ওই খুদে নিজেই গাড়ি চালিয়ে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি পার্কে পৌঁছায়। বিষয়টি কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশের নজরে আসায় রীতিমত হতভম্ব তাঁরাও। এত ছোট একটি শিশু কিভাবে গাড়ি চালিয়ে এতটা পথ অতিক্রম করল আপাতত সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত তাঁরা। তবে আপাত দৃষ্টিতে পুরো ঘটনাটিকে মজার বলে মনে হলেও এর জেরে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত, এমনটাই বলছেন পুলিশ আধিকারিকরা। সেইসঙ্গে পুলিশ সূত্রে এও জানা গিয়েছে এই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি এবং অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে ওই খুদেও।

বিষয়টি শুরু থেকে বলা যাক। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসের বাসিন্দা ওই শিশু তার মা যখন বাড়িতে নিশ্চিন্ত মনে ঘুমাচ্ছে তখনই আলমারি থেকে গাড়ির চাবি বের করে সোজা রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে গাড়ি নিয়ে। গাড়ি চালিয়ে বেশ কিছুটা দূরে অবস্থিত পার্কের কাছেও পৌঁছায় ওই খুদে। তবে গাড়ি পার্ক করতে গিয়ে বাধে গোল। জানা যাচ্ছে, ঘটনাস্থলে ছিল দুজন পুলিশ আধিকারিক। বিষয়টি প্রথমে তাদেরই নজরে আসে। তারা হঠাৎই দেখতে পায় পার্কিং স্পেসে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি গাড়িতে একটি গাড়ি এসে হঠাৎই ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে গাড়িটিকে দাঁড় করায় এবং গাড়ির চালককে গাড়ি বের হওয়ার নির্দেশ দেন। পুলিশের নির্দেশ মেনে গাড়ির চালক গাড়ি থেকে নামতেই চক্ষুচড়কগাছ সকলের। দেখা যায় গাড়ির চালক বছর চারেকের ছোট্ট একটি শিশু। বাড়ির অভিভাবকের নজর এড়িয়ে সে নিজেই গাড়ি চালিয়ে ওই পার্কে এসে উপস্থিত হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তার বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী পুলিশ স্টেশনেও নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর শিশুটির বাবা মা থানায় এসে শিশুটিকে এবং অক্ষত অবস্থায় গাড়িটিকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান। পুলিশ যাওয়ার সময় শিশুটিকে আবার চকলেট এবং টেডি বিয়ার উপহার দিয়েছে বলেও জানা যায়। 

সম্প্রতি ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে নেদারল্যান্ডস পুলিশ। এরপরেই ছোট্ট ওই শিশুর কান্ড কারখানা দেখে রীতিমতো হাসির রোল উঠেছে নেটপাড়ায়। তবে কিভাবে গাড়িটা চালিয়ে অত দূরের পার্কে পৌঁছলো শিশু তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে নেটিজেনরা। একই প্রশ্ন পুলিশেরও। তবে পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছে, সম্প্রতি এমার্জেন্সি নম্বরে এক ভদ্রলোকের ফোন আসে যিনি জানান যে তিনি খালি গায়ে পাজামা পরা একটি শিশুকে গাড়ির ভিতরে উঠতে দেখেছেন এবং এরপরই ওই গাড়ি চলতে শুরু করেছে। এরপরই পার্ক থেকে গাড়িসহ শিশুটিকে উদ্ধার করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *