বস্টন: ৫ জন যাত্রীর ইচ্ছা ছিল ইতিহাসকে চাক্ষুষ করার। আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে পড়ে থাকা ‘টাইটানিক’ দেখার সেই ইচ্ছা আর হয়তো পূরণ হল না। ৯৬ ঘণ্টার মতো অক্সিজেনের ভাণ্ডার নিয়ে জলের তলায় ডুব দেওয়া সাবমেরিন এখনও নিখোঁজ। সেই সঙ্গে জীবনের সঙ্গে লড়াই চলছে ৫ যাত্রীর। সময়ের হিসেব বলছে, সাবমেরিনের অক্সিজেন শেষ বা শেষের মুখে। তাই বলাই যায়, ‘টাইটান’ সাবমেরিনের যাত্রীদের বেঁচে যাওয়া এখন ‘মিরাকেল’। কিন্তু কাদের ভাগ্যে এই পরিণতি লেখা ছিল? সাবমেরিনে কারা কারা আছেন?
নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জনস থেকে যাত্রা শুরু করেছিল সাবমেরিনটি। সাবমেরিনের তল্লাশি চালানো হচ্ছে পর্যটন সংস্থা ‘ওয়ানগেট’-এর তরফে। তারাই সাবমেরিনে টাইটানিক দর্শনের আয়োজন করেছিল। এই সাবমেরিনে প্রতি টিকিটের দাম ভারতীয় মুদ্রায় ২ কোটিরও বেশি। এতএব বলাই বাহুল্য যে, সাবমেরিনে যারা আছেন তারা প্রত্যেকেই ধনকুবের হবেন। আদতে তাইই। এদিকে সাবমেরিনে থাকার ৫ পর্যটকের মধ্যে দুজনের সম্পর্ক আবার পিতা-পুত্রের। জেনে নেওয়া যাক, ‘টাইটানিক’ দেখতে এই সাবমেরিন করে কারা গিয়েছেন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”Drinking cold water? | অতিরিক্ত গরমে ঠান্ডাজল খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে?” width=”789″>
স্টকটন রাশ: সাবমেরিনের নির্মাতা সংস্থা ‘ওয়ানগেট এক্সপেডিশন’-এর সিইও তিনি। তাঁর সংস্থার তরফেই এই অভিযানের ব্যবস্থা করা হয়। ২০০৯ সালে এই সংস্থা তৈরি করেন স্টকটন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ জেট-ট্রান্সপোর্ট রেটেড পাইলট হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছিলেন তিনি।
পল হেনরি নারজিওলেট: ‘মিস্টার টাইটানিক’ নামে পরিচিত এই ব্যক্তিই এই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি ফরাসি নৌবাহিনীর প্রাক্তন ডুবুরি। এর আগে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যত অভিযান হয়েছে তার বেশিরভাগেরই নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, নিজেও অন্তত ৩৫ বার আটলান্টিকের প্রায় ১৩ হাজার ফুট গভীরে নেমে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখে এসেছেন।
হ্যামিশ হারডিং: ইনি ব্রিটিশ কোটিপতি ব্যবসায়ী। তাঁর তিনটি ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’ রয়েছে। একজন বিখ্যাত ভূপর্যটক ও অভিযাত্রী হিসেবে পরিচিত হ্যামিশের সমুদ্রের গভীরে সবচেয়ে বেশি সময় কাটানোর নজির রয়েছে।
শাহাজাদা দাউদ ও সুলেমান: পাকিস্তানের অন্যতম ধনকুবের তিনি। তাঁর বাবাও সেই দেশের একজন অন্যতম সফল ধনী ব্যক্তি ছিলেন। ‘টাইটান’-এর টিকিট কেটে নিজের ছেলে সুলেমানকে সঙ্গে নিয়ে আটলান্টিকের গভীরে গিয়েছিলেন শাহাজাদা। সেও বাবাকে পারিবারিক ব্যবসায় সাহায্য করে। এখন তারা দু’জনেই মহাসাগরের অতলে কোথাও কোনও এক স্থানে সাবমেরিনে বন্দি।