ওয়াশিংটন: কথায় আছে পাগলে কী না বলে ছাগলে কী না খায়। কাউকে বোকা বলতে গেলে ছাগল আখ্যা দেওয়াটাও চলে, সেই ছাগলই কিনা শহরবাসীর দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছে। যে সে দায়িত্ব নয়, একেবারে মেয়রের পদে বসা। হ্যাঁ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক শহরের মেয়র হয়েছে এক ছাগল। তার জিন অনুসারে একটা কিছু খেলেই হল, কিন্তু পদমর্যাদা বলে তো একটা কথা আছে তাইনা। তাই ছাগলকেও ধরেবেঁধে কেতাদূরস্ত হওয়ার পাঠ দেওয়া হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বে নিউ ইংল্যান্ডের একটি রাজ্য ভারমন্ট। সেখানকার রুটল্যান্ড কাউন্টির ছোট্ট শহর ফেয়ার হাভেন। এখানকার বর্তমান জনসংখ্যা ২,৫০০। এই শহরের মেয়রের পদটি দীর্ঘদিন ধরেই শূন্য রয়েছে, সেজন্য শহরের ম্যানেজার জোসেফ গান্টারের দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। তিনি দায়িত্বের ভার কমাতেই পেট মেয়র নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, গণতন্ত্রের অন্যতম নিদর্শন এটি। অন্যান্য শহরগুলিতে যখন মেয়র পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়েছে,লজ্জার মাথা খেয়ে শহরের খ্যাতিমান বাসিন্দারা যা পারছেন তাই করছেন, তখনই ব্যতিক্রমী ভাবনাচিন্তা শুরু করেন গান্টার। তাইতো ফেয়ার হাভেনের মেয়র হয়েছে এক ছাগল।
মেয়র ছাগলের নাম লিঙ্কন, সে বেশ ভদ্রসভ্য। মেয়র পদের জন্য ১৬টি পশুর মধ্যে জোরদার ভোটের লড়াই চলেছে। কুকুর, বিড়ালের পাশাপাশি অন্য পশুরাও মেয়র পদের নির্বাচনী লড়াইতে অংশ নেয়। ১৩টি ভোট পেয়ে সবার থেকে এগিয়ে যায় লিঙ্কন। তবে গান্টারের দুঃখ, মেয়র পদের জন্য মাত্র ৫৩টি ভোট পড়েছে।
ফেয়ার হাভেনের আগেও অবশ্য বিশ্বের নানা দেশে, সরকারি পদে পশুদের বসানো হয়েছে। ১৯২২ সালে ব্রাজিলের ফোরটালেজা শহরের সিটি কাউন্সিলর হয়েছিল একটি ছাগল। ১৯৮১-৯৪ সাল পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়ার সুনোলে মেয়রের পদে ছিল ব্ল্যাক ল্যাব্রাডর বস্কো। ১৯৯৭ সালে স্টাবস নামে একটি বিড়াল আলাস্কার একটি শহরের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিল। হালে ২০১৪ সালে মিনেসোটার করমোরান্ট শহরের মেয়র হয় একটি কুকুর, নাম ডিউক। ২০১৮-র জুলাইতে মিশিগানের ওমেনার মেয়রের পদে বসেছিল বিড়াল। আর এবার ছাগল হল মেয়র।