২০ গুণ বেশি ছড়াচ্ছে তেজস্ক্রিয়! ‘চেরনোবিল’ নিয়ে আবার আতঙ্ক

২০ গুণ বেশি ছড়াচ্ছে তেজস্ক্রিয়! ‘চেরনোবিল’ নিয়ে আবার আতঙ্ক

কিয়েভ: ভয়ঙ্কর, মর্মান্তিক, অসহনীয় বললেও হয়তো কম বলা হবে। ১৯৮৬ সালে চেরনোবিল দুর্ঘটনার কথা প্রায় সকলেই জানেন। হাজার হাজার মানুষের স্মৃতিতে এখনও রয়ে গিয়েছে সেই দুর্ঘটনার ছাপ। মাত্রাতিরিক্ত তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ফলে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল সেই সময়। কাদের দোষ ছিল তা নিয়ে এখনও তর্ক রয়েছে। তবে ফের একবার সেই চেরনোবিল নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। নেপথ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ।

আরও পড়ুন- রাশিয়ান ট্যাঙ্কার ঢুকতে দেবেন না! ব্রিজে নিজেকেই উড়িয়ে দিলেন ইউক্রেনীয় সেনা

৮৬ সালের সেই দুর্ঘটনা আরও ভোলেনি গোটা ইউরোপ সহ বিশ্ব। সেই আতঙ্কের পরিস্থিতি আবার সৃষ্টি হয়েছে রাশিয়া চেরনোবিল দখল করার পর। জানা গিয়েছে, সেখানকার পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্রের আশাপাশে হু হু করে বাড়ছে তেজস্ক্রিয় গামা রশ্মির বিকিরণ, যার মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ২০ গুণ বেশি! তবে আপাতত স্বস্তি যে এই বিকিরণ এখন শুধুমাত্র চেরনোবিলের আশেপাশের ‘এক্সক্লুসন জোনেই’ সীমাবদ্ধ। কিন্তু আশঙ্কা, যথা সময়ে পদক্ষেপ না করলে তা ‘এক্সক্লুসন জোন’ থেকে বাইরে ছড়িয়ে পড়বে তা ভয়ানক আকার ধারণ করতে পারে। আবার সেই আগের মতো মৃত্যু, পঙ্গুত্ব, শারীরিক বিকৃতির ভয় থেকে যাচ্ছে। কিন্তু যতদুর জানা গিয়েছে এই শহর রাশিয়া দখল করলেও এখনও পরমাণু উৎপাদন কেন্দ্রে হাত দেয়নি। তাহলে এই আশঙ্কা কেন?

মনে করা হচ্ছে, চেরনোবিলের এই পরমাণু কেন্দ্রে হাত না দিলেও সেখানকার অনেক কর্মীকে বন্দি বানিয়েছে রাশিয়া। এদিকে, পরমাণু উৎপাদন কেন্দ্রের এক্সক্লুসন জোনের বাইরে চলছে যুদ্ধ। পরপর বোমা, মিসাইল সবই পড়ছে। বিশেষজ্ঞদের ভয়, এক্সক্লুসন জোনে গামা রশ্মির বিকিরণ বেড়ে গিয়েছে ঠিক এই কারণেই। আর তা বাড়তে বাড়তে সেই জোন টপকে যাবে, তখনই হয়ে যাবে মুশকিল। উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে এই চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্রেই বিরাট বিস্ফোরণ হয়। চুল্লির উপরের প্রায় দু’হাজার টন ওজনের ধাতব ঢাকনাটি উড়ে যায় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে। সেই বিকিরণ ছড়িয়ে পড়ে ১ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকায়। প্রাণ হারান বহু মানুষ, ক্ষতিগ্রস্ত হন কয়েক হাজার জনতা।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 14 =