আজ বিকেল: জাবির মোতিওয়ালার সূত্র ধরে এবার দাউদ ইব্রাহিমের নাগাল পেতে উঠেপড়ে লেগেছে। মোতিওয়ালা এই মুহূর্তে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের জিম্বায় রয়েছে পাকিস্তানের এই সো-কল্ড ব্যাবসায়ী। এই ব্যবসায়ী নিজে দাউদের ডি-কোম্পানির হাওয়ালায় টাকা খাটানো থেকে শুরু করে ড্রাগ পাচারের কাজ সবই করে এই জাবির মোতিওয়ালা। এবার মোতিওয়ালাকে প্রত্যার্পণ করতে মাথা গলিয়েছে ওয়াশিংটন। তাতেই চোখের ঘুম উড়েছে ইসলামাবাদের। যেনতেন প্রকারেণ জাবির মোতিওয়ালার প্রত্যার্পণ ঠেকাতে বদ্ধ পরিকর ইসলামাবাদ। কেননা এই মোতিওয়ালাকে হাতে পেলেই দাউদের যাবতীয় গতিবিধি এফবিআইয়ের দখলে চলে আসবে।
এই অবস্থায় ওয়েস্ট মিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রত্যাপর্ণ মামলায় জাবিরের আইনজীবীকে কূটনৈতিক ভাবে সবরকম সাহায্য করতে নেমেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানি কূটনীতিকরা বলছেন, জাবির মোতিওয়ালা মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত। বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টাও নাকি করেছে। তার বিরুদ্ধে হাওয়ালা, ড্রাগ চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে প্রত্যপর্ণ করা ঠিক হবে না। এর আগে এক বার প্রত্যর্পণে বাগড়া দিয়েছে পাকিস্তান। আদালতে জানিয়েছে, জাবির মোতিওয়ালা তাদের দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন। এদিকে এফবিআই-য়ের তরফে ব্যারিস্টার জন হার্ডি জানিয়েছেন, মোতিওয়ালা নিয়মিত বিভিন্ন দেশে সফরে যায়। দাউদের হয়ে সে সব দেশের অপরাধ চক্রের মাথাদের সঙ্গে ডিল করে সে। ফলে শুধু আমেরিকায় নয় বিশ্বজনীন সন্ত্রাস ও ড্রাগ চক্র বন্ধ করার স্বার্থেই মোতিওয়ালাকে প্রত্যপর্ণ করা জরুরি।