ওয়াশিংটন: আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন বা ক্যাপিটলে (Capitol) দুষ্কৃতীদের হামলা এবং তৎপরবর্তী ঘটনাক্রম নিয়ে জারি তরজা। মার্কিন কংগ্রেসে বড়সড় নাশকতার ছক কষা হচ্ছে, এই মর্মে গত মাসের শেষের দিকেই নাকি তথ্য এসেছিল নিউ ইয়র্কের পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কাছে। সেই মতো ক্যাপিটল তথা মার্কিন সংসদের তদন্ত সংস্থা ফেডেরাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (FBI)-এর কাছে সংবাদও পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে কেন আগে থেকে সতর্ক হয় নি ক্যাপিটল? উঠেছে প্রশ্ন।
নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের (NYPD) কাছে যে তথ্য এসেছিল তা মূলত বিবিধ সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ঘেঁটে বের করা। ডিসেম্বরের শেষ দিকেই মার্কিন সংসদে হামলার পূর্ব পরিকল্পনা চালানো হয়েছিল। স্বভাবতই এনওয়াইপিডি মনে করেছিল রীতি মেনে এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে যথাযথ তদন্ত চালানো হবে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (DHS)-ও এ ব্যাপারে উদ্যোগী হবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে এই ব্যাপারে কোনো অফিসিয়াল রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় নি।
এদিন ডিএইচএসের তরফে এক সরকারি আধিকারিক নিশ্চিত ভাবে জানিয়েছেন ৬ জানুয়ারির সম্ভাব্য হামলা সম্বন্ধে তাঁরা কোনো সতর্কবার্তা প্রেরণ করেন নি। একই কথা জানিয়েছে এফবিআই-ও। এদিন ন্যাশানাল ফিউশন সেন্টার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান মাইক সেনা সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, “এ ব্যাপারে যে আমরা কোনো তথ্য পাই নি, তা জেনে আমি খুবই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের কাছে একাধিক রিপোর্ট এসেছিল কিন্তু সেসবই নির্বাচন সংক্রান্ত।”
এফবিআই-এর তরফ থেকে কেউ কেউ জানিয়েছেন মানুষের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারে হস্তক্ষেপ করার ভয়েই এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। তাঁরা মনে করেছিলেন এতে আমেরিকাবাসীর ফার্স্ট আমেন্ডমেন্ড ফ্রি স্পিচের অধিকারে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এই তা সত্ত্বেও তাদের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক থামছে না। উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি মার্কিন কংগ্রেসে যখন পরবর্তী প্রেসিডেন্টের আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছিল, তখন একদল দুষ্কৃতী নিরাপত্তা বিধি ভেঙে সেখানে ঢুকে পড়ে এবং হামলা চালায়। এই ঘটনায় বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের দিকেই অভিযোগের আঙুল ওঠে। এমনকি হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগে মেয়াদ শেষের আগেই দ্বিতীয় বারের জন্য ইমপিচ করা হয় ট্রাম্পকে।