সান ফ্রান্সিসকো: নিজেদের প্ল্যাটফর্মে পেমেন্ট সিস্টেম একত্রিত করতে বিশেষ ইউনিট চালু করেছে ফেসবুক। নতুন এই গ্রুপের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফেসবুক ফিনান্সিয়াল’৷ যার নেতৃত্বে রয়েছেন ই-কমার্স বিশেষজ্ঞ ডেভিড মারকাস। ফেসবুকে যোগদানের আগে ‘পেপাল’-এর প্রেসিডন্ট ছিলেন তিনি।
ফেসবুকের ডিজিটাল মানি নেটওয়ার্ক লিব্রা-র অন্যতম স্রষ্টাও মারকাস৷ এছাড়াও তাঁর নেতৃত্বেই মুদ্রার জন্য নোভি ডিজিটাল ওয়ালেট তৈরি করেছে একটি বিশেষ দল৷ লিব্রা কয়েন চালু হওয়ার পর নোভি ওয়ালেট থেকে নানা সুবিধা দেওয়া সম্ভব হবে। এই ওয়ালেট চালু হলে নিজস্ব বাণিজ্য সম্প্রসারণের প্রস্তাব ও আরও ছোট ব্যবসায়িক সামাজিক নেটওয়ার্কে বিজ্ঞাপন দেবে ফেসবুক।
আরও পড়ুন- বিশ্ব নেতা-মন্ত্রী-রাষ্ট্রনায়কদের রেহাই দেয়নি করোনা, এখনও কি সতর্ক হবে না?
এএফপির এক ই-মেলের জবাবে ফেসবুকের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে আমাদের অ্যাপে একাধিক পেমেন্ট ফিচার আছে৷ আমরা নিশ্চিত কিছু সিদ্ধান্ত নিতে চাই এবং তা যেন কার্যকর হয়।’’ ফেসবুকের তরফে আরও বলা হয়েছে, আমরা চাই মানুষ যেন যখন ইচ্ছা ডেবিট, ক্রেডিট অথবা লিবরা ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে অর্থপ্রদান করতে পারে।
ফেসবুকের ডিজিটাল কারেন্সি লিবরা নিয়ে উদ্বিগ্ন ফেডারেল রিজার্ভের পক্ষ থেকে গত সপ্তাহে নিজস্ব ইনস্ট্যান্ট পেমেন্ট সিস্টেম চালু করার কথা বলা হয়েছে। আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে এই পরিষেবায় অর্থনৈতিক পরিষেবার পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। গত বছর ফেসবুক যখন তাদের লিবরা ক্রিপটোকারেন্সি চালুর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল, তখনই এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল সংশ্লিষ্ট মহল৷ এর জন্য সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় ফেসবুককে৷ ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কে আর্থিক পরিষেবার নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
আরও পড়ুন- রাজকীয় সুখ বিসর্জন দিয়ে সাধারণ জীবন বেছেছেন এই সব রাজপুত্র-রাজকন্যারা
ফেসবুকের বক্তব্য, লিবরা প্রতিটি ব্যক্তিকে একটি ইলেকট্রনিক ওয়ালেটের সুবিধা দেবে। আন্তর্জাতিক সব মুদ্রার মূল্যমানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এই মুদ্রার মূল্যমান নির্ধারিত হবে। প্রচলিত মুদ্রা দিয়ে লিবরা কেনা যাবে। সর্বোপরি লিবরার সঙ্গে ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্যের যোগসূত্র থাকবে না৷ ফলে তাদের উদ্দেশ্য করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে না। লিবরা পেমেন্টের সঙ্গে ফেসবুকের বিভিন্ন পণ্য যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে ভার্চুয়াল মুদ্রায় ব্যাঙ্ক ডিপোজিট, স্বল্পমেয়াদি সরকারি নিরাপত্তার মতো বিষয় যুক্ত থাকবে। এতে অন্যান্য ক্রিপটোকারেন্সির মতো মুদ্রাস্ফীতি হবে না।
আরও পড়ুন- ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে 'ঐতিহাসিক', বিমান দুর্ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ বাংলাদেশের