সানা: তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ইয়েমেনের আডেন বিমানবন্দর৷ সৌদি আরব থেকে নতুন সরকারের সদস্যদের নিয়ে একটি বিমান ইয়েমেনের মাটি ছোঁয়ার পরই বিস্ফোরণটি ঘটে৷ এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে পাঁচজনের৷ জখম অসংখ্য মানুষ৷ অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মইন আবদুলমালিক সইদ এবং ক্যাবিনেট সদস্যরা৷
আরও পড়ুন- ইউরোপের আটটি দেশে ‘নতুন’ করোনার বাড়বাড়ন্ত! চরম উদ্বেগে WHO
মার্টার শেলের আঘাতে বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলেও সূত্রের খবর৷ তবে কোনও মন্ত্রী এই ঘটনায় আহত হননি৷ তাঁদের নিরাপদে প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ এই ঘটনার পর ইয়েমেনের তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই কাপুরোষিত সন্ত্রাসবাদী হামলার পিছনে রয়েছে হুথি গোষ্ঠীর হাত৷ ’’
রাষ্ট্রপতি আবদ্রাব্বুহুর মনসুর হাদির অনুগামী বাহিনী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী সার্দান ট্রানজিশনাল কাউন্সিল (এসটিসি)-এর মধ্যে ভয়াবহ সংঘাত মেটাতেই সাইদের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে৷ ইয়েমের নবগঠিত সরকারের সদস্যরা এদিন বিমানে করে আডেন বিমানবন্দরে পৌঁছনোর কিছুক্ষণের মধ্যেই বড়সড় বিস্ফোরণ ঘটে৷ শোনা যায় গোলাগুলির শব্দও৷ একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বিমানটি অবতরণের পরই পর পর তিনটি বিস্ফোরণ ঘটে৷ সেই সঙ্গেই ভেসে আসে গুলির আওয়াজ৷
আরও পড়ুন- ২০২৮ সালের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি হবে চিন! হারবে আমেরিকা
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সাল থেকেই গৃহযুদ্ধে জেরবার ইয়েমেন৷ প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে হঠিয়ে রাজধানী সানা’র দখলে নেয় ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। এর পর সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রপতি হাদি। এদিকে হুথির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ৷ ২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামের সামরিক আগ্রাসন শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন যৌথ সামরিক জোট। স্কুল, বাজার ও হাসপাতাল সহ বিভিন্ন স্থানে সৌদি জোটের বিমান হামলায় নিহত হয় লক্ষাধিক নিরপরাধ মানুষ। আহত হয় অসংখ্য লোক। ক্রমশ পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ইয়েমেনের। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতেই নতুন সরকার গঠন করা হয়৷