কলম্বো: ফের বিস্ফোরণে কাঁপে উঠল শ্রীলঙ্কা৷ এই নিয়ে নবম বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গিয়েছে৷ সোমবার দুপুরে গাড়িবোমা বিস্ফোরণ হয়েছে বলে খবর৷ বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে খবর৷ বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে দুই আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর৷ গির্জার সামনে থাকা গাড়িতে বিস্ফোরণ৷
রবিবারের ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পর দেশে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা৷ পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত গোটা দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে৷ শ্রীলঙ্কায় বিস্ফোরণের পরবর্তী পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে উপকূল সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ভারতীয় নৌসেনার৷ গির্জায় হামলার পর গোয়াতেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷
Reuters: An explosion went off in a van near a church in Colombo, #SriLanka when bomb squad officials were trying to defuse it. pic.twitter.com/eBpIUKk7Pt
— ANI (@ANI) April 22, 2019
ইস্টার সানডের পুণ্যলগ্নে রক্তস্নাত শ্রীলঙ্কা। নাশকতার থাবা একের পর এক গির্জা, বিলাসবহুল হোটেলে। সব মিলিয়ে আটটি বিস্ফোরণে মৃত্যু হল অন্তত ২১৫ জনের। জখম ৫০০ জনেরও বেশি। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন লক্ষ্মী, নারায়ণ চন্দ্রশেখর রমেশ এবং পিএস রাসিনা নামে চার ভারতীয়। বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৩৫ জন বিদেশি নাগরিক। মারা গিয়েছেন তিন পুলিশকর্মীও।
Reuters: Sri Lankan President Maithripala Sirisena to declare nationwide emergency from midnight on Monday following Easter Day blasts pic.twitter.com/41qoYo1HqU
— ANI (@ANI) April 22, 2019
দ্বীপভূমির ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এই নাশকতার ঘটনায় নিশানায় ছিল মূলত খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। অতীতে শ্রীলঙ্কার অধিকাংশ ভয়াবহ হামলার পিছনে থাকত এলটিটিই। কিন্তু ২০০৯ সালে এই তামিল সংগঠনের নেতা ভেলুপিল্লাই প্রভাকরনের মৃত্যুর সঙ্গেই প্রায় তিন দশকের গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটেছিল। তাহলে রবিবারের এই ভয়াবহ হামলার পিছনে কারা? আপাতত কেউ দায় স্বীকার না করলেও প্রাথমিকভাবে উঠে আসছে এনটিজে নামে একটি কট্টরপন্থী মুসলিম সংগঠনের নাম।
শ্রীলঙ্কার পুলিশ প্রধান পুজুথ জয়সুন্দরের দাবি, হামলার আশঙ্কায় ১০ দিন আগেই দেশজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে খবর মিলেছিল, দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গির্জা, এমনকী কলম্বোয় ভারতীয় হাই কমিশনে আত্মঘাতী হামলার ছক কষেছে এনটিজে। এবিষয়ে পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের গত ১১ এপ্রিল সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল।