ইউরোপ: লিঙ্গ বৈষম্য ইউরোপেও! এদেশ হোক বা বিদেশ, মহিলারা যত উচ্চ পদেই আসীন হোন না কেন, তাঁদের অবস্থান চোখে আঙুল দিয়েই দেখিয়ে দেয় তথাকথিত সভ্য সমাজও! সম্প্রতি বসার জন্য চেয়ার না পেয়ে হতবাক হয়ে দাঁড়িয়েই রইলেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রথম মহিলা সভাপতি উরসুলা ভনডের লিয়েন৷ এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রশ্ন উঠছে, মহিলা হওয়াই কি তাঁর চেয়ার না পাওযার কারণ? কেন একজন মহিলাকে দাঁড় করিয়ে রেখে পুরুষরা বসে পড়লেন, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।
একটি বৈঠকে যোগ দিতে তুরস্কে যান ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি চার্লস মাইকেল। তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তায়ইপ এরদোগানের। সময়সূচি মেনে বৈঠকের জন্য তাঁরা তিনজন হলঘরে প্রবেশও করেন। অথচ চোখের সামনে দু’টি চেয়ার রাখা ছিল। ফাঁকা দু’টি চেয়ারে বসে পড়েন বৈঠকের দুই পুরুষ সদস্য। মাঝখানে অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন উরসুলা। ঘটনার আকস্মিকতায় তাঁর মুখ দিয়ে ‘অ্যাঁ’ জাতীয় শব্দবন্ধও বেরোতে শোনা যায়৷ পরে অবশ্য দেখা যায়, তিনি একটি সোফায় বসে রয়েছেন৷
বৈঠক হওয়ার কথা আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল৷ তাহলে কেন বৈঠকে তিনটির জায়গায় দু’টি চেয়ার রাখা হল, তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এরপরই ইউরোপীয় কমিশনের পক্ষ থেকে এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে৷ যদিও এবিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছে তুরস্ক। কিন্তু তুরস্ক এবিষয়ে মৌনব্রত অবলম্বন করলেও, সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। এই ঘটনার জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে চার্লস মাইকেলকেও। অনেকের মতে, তৃতীয় চেয়ারটি না আনা পর্যন্ত মাইকেলেরও উচিত ছিল দাঁড়িয়ে থাকা।ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র বিষয়টির নিন্দা করে বলেন, ‘কমিশনের প্রেসিডেন্ট পরিস্থিতি দেখে হতবাক হয়ে যান। ভিডিওতে তা পরিষ্কার হয়ে যায়। ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতির মতোই প্রোটোকল দেখানো উচিত ছিল কমিশনের সভাপতির ক্ষেত্রেও।’