মেয়ের গর্ভে বাবার সন্তান! পৃথিবীতে প্রজননের জন্যেই রয়েছি, সাফাই মাস্কের বাবার

মেয়ের গর্ভে বাবার সন্তান! পৃথিবীতে প্রজননের জন্যেই রয়েছি, সাফাই মাস্কের বাবার

কলকাতা: তাঁর ঘর আলো করে এল ফুটফুটে সন্তান৷ ফের বাবা হলেন মাস্ক। তবে এবার এলন মাস্ক নন। নতুন করে পিতৃত্বের স্বাদ পেলেন এলনের বাবা এরল মাস্ক। নিজের সৎ মেয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিলেন এরল৷ জানা গিয়েছে, এরলের সৎ মেয়ে তার থেকে ৪১ বছরের ছোট। একটি সাক্ষাৎকারে নিজেই সমস্ত কথা জানিয়েছেন ৭৬ বছরের এরল৷ 

আরও পড়ুন- ‘বিদ্রোহ আর চুমুর দিব্যি’…শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভের জনজোয়ারে চুম্বনরত যুগল! ভাইরাল ছবি

ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,  ৩৫ বছরের  জনা বেজুইডেনহাউটের গর্ভে সন্তান আসে তাঁর৷  ২০১৯ সালে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন জনা৷ এটা তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান৷ এর আগে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে এরন মাস্ক এবং জনা বেজুইডেনহাউটের৷  তার নাম ইলিয়ট রাশ। ইলিয়টের বয়স এখন পাঁচ৷ 

জনার যখন চার বছর বয়স, তখন তাঁর মা হেউডির সঙ্গে বিয়ে হয় এরল মাস্কের৷ ১৮ বছরের বিবাহিত জীবনে দুটি সন্তান রয়েছে তাঁদের। এর আগে ১৯৭০ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত মায়ে মাস্কের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন এরন৷  তাঁদের তিনটি সন্তান রয়েছে। তাঁরা হলেন এলন, কিম্বল এবং টোসকা।

এরল একটি ট্যাবলয়েডে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, এই শিশুটির জন্য তাঁদের কোনও পরিকল্পনা ছিল না। তিনি আরও বলেন, বেজুইডেনহাউটের সঙ্গে তাঁদের প্রথম সন্তানের জন্মের পর প্রায় ১৮ মাস তাঁরা একসঙ্গে ছিলেন। এরপরে  আলাদা হয়ে যান৷ কিন্তু  একে অপরের প্রতি তাঁদের ভালবাসা ও টান রয়ে গিয়েছে। তিনি আরও জানান, তাঁর মেয়েরা বেজুইডেনহাউটের সঙ্গে তাঁর এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। জানা গিয়েছে, এরল মোট সাত সন্তানের পিতা।

ওই ট্যাবলয়েডের সঙ্গে জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়েও কথা হয়েছিল এরলেন৷ সেই সময় তিনি তাঁর ছেলে এরন মাস্কের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন। তাঁর কথায়, “আমরা পৃথিবীতে শুধুমাত্র প্রজননের জন্যই রয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “আমি আরও সন্তানের জন্ম দিতে পারলে খুশি হতাম। এমনটা না করার কোনও কারণও দেখতে পাচ্ছি না।” যদিও, বর্তমানে এরল এবং এলন মাস্কের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই।

চলতি মাসের শুরুতে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জানা যায়, এলন মাস্ক তাঁর নিউরালিংক সংস্থার এক্সিকিউটিভ শিভন জিলিসের সঙ্গে গত নভেম্বরে যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। ফলে তিনি এখন ৯ সন্তানের বাবা৷ সন্তান জন্মের এক দিন পর তিনি টুইট করে বলেছিলেন, “নিম্ন জনসংখ্যা সঙ্কটকে কাটিয়ে উঠতে  আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। জন্মহার কমে যাওয়া এখনও পর্যন্ত সভ্যতার সবচেয়ে বড় বিপদ।”