ইংল্যান্ড: স্পেনের পর ইংল্যান্ড৷ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিছুটা হলেও সাফল্য পেল ইংল্যান্ড। সরকারি নথি বলছে, এই দেশটিতে সোমবার একজনও করোনায় আক্রান্ত রোগী প্রাণ হারাননি৷ তাও আবার গত বছর জুলাই মাসের পর এই প্রথমবার। গ্রেট ব্রিটেনের অন্তর্ভুক্ত নর্দ্যান আয়ারল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডেও সোমবার একজনও করোনা আক্রান্তল রোগীর মৃত্যুর খবর সামনে আসেনি। এই খবর প্রকাশিত হতেই খুশির হাওয়া বইছে গ্রেট ব্রিটেনের অন্তর্ভুক্ত এই দেশগুলিতে।
গত দেড় বছর ধরে গোটা বিশ্ব লড়াই করছে করোনা নামক অতিমারির সঙ্গে। বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ইনিংসে পুরোপুরি বেহাল অবস্থা ভারতের। প্রতিদিন রেকর্ড গড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। একসময় এই ইংল্যান্ডের ছবিটাও এরকমই ছিল। করোনার প্রথম ঢেউ সেখানে বহু মানুষের প্রাণ কেড়েছে । দ্বিতীয় ঢেউয়েও ছবিটা একটুও বদল হয়নি৷ করোনাকে রুখতে নতুন করে লকডাউন-সহ একাধিক বিধিনিষেধ জারি করে সেদেশের সরকার। এরই মধ্যে ব্রিটেনে করোনার নতুন স্ট্রেন আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছিল। এমনকী ভারত সফরও স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শেষপর্যন্ত গোটা দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। বর্তমানে দেশের এক তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্কদের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। দেশজুড়ে লকডাউন করার সুফলও মিলেছে। কমেছে সংক্রমণ এবং মৃতের সংখ্যাও।
তার মধ্যেই এই সুখবর৷ জানা গিয়েছে, ইংল্যান্ডে গত সোমবার একজনও করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়নি। প্রায় ১৪ মাস অর্থাৎ এক বছরেরও বেশি সময় পর এই দিনটি দেখল ইংল্যান্ড। এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে ইংল্যান্ডে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল শূন্য। তারপর থেকে মৃতের সংখ্যা ফের ঊর্ধ্বমুখী ছিল৷ তবে সংক্রমণ এবং মৃতের সংখ্যা কমায় ইংল্যান্ডে আগামী ১৭ মে থেকে একাধিক কোভিডবিধি তুলে নেওয়া হচ্ছে। সেদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাডিন ডরিস জানিয়েছেন, ১৭ মে থেকে বিধিনিষেধ কমানো হচ্ছে। ১৭ তারিখের পর থেকে বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে আলিঙ্গন করতে পারবেন। তবে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।উল্লেখ্য, সোমবার গ্রেট ব্রিটেনের অন্তর্ভুক্ত ওয়েলসে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। যার ফলে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,২৭,৬০৯ জন।