doomsday
আন্টার্কটিকা: পৃথিবীর শেষ কবে? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে মানুষ যে উৎসুক নয়, তা বলা ভুল হবে। দীর্ঘ সময় ধরে যে এই নিয়ে গবেষণাও চলে আসছে তাও সঠিক। কিন্তু আদতে কি কখনও এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে? সেটা এখনই নিশ্চিত না হওয়া গেলেও আঁচ কিন্তু মিলছে। কারণ, সম্প্রতি জানা গিয়েছে পৃথিবীর বিশালাকার থোয়াইটস হিমবাহ অপ্রত্যাশিতভাবে গলতে শুরু করেছে। আরও জেনে রাখা ভালো, একেই বলা হয় ‘ডুমস ডে’ হিমবাহ। অর্থাৎ, এটি গলতে শুরু হওয়া মানে অশনি সঙ্কেত।
মারফি পর্বতমালা থেকে প্রায় ২৯ কিলোমিটার দূরে আন্টার্কটিকায় অবস্থিত এই থোয়াইটস হিমবাহ। গবেষকদের মতে, বিগত কিছু সময় ধরেই এই হিমবাহ দ্রুততার সঙ্গে গলতে শুরু করেছে। কিন্তু কেন আচমকা এমন হচ্ছে? ‘ ব্রিটিশ আন্টার্কটিক সার্ভে (বিএএস)’-এর গবেষকদের দু’টি গবেষণায় এবং ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণেই এই পরিস্থিতি। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই চিন্তার ভাঁজ বিজ্ঞানীদের কপালে। কারণ, হিমবাহ এইভাবে গলতে শুরু করলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আরও বাড়তে শুরু করবে, তার ফলে একাধিক শহর জলের তলায় চলে যেতে পারে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, থোয়াইটস হিমবাহ গলে গেলে সমুদ্রের স্তর ১০ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। যার ফলে বহু শহর, দ্বীপ অঞ্চল ডুবে যেতে পারে।
এই হিমবাহের আকৃতি এতটাই বিশাল যে আমেরিকার ফ্লোরিডা রাজ্য তার কাছে ছোট মনে হবে। গবেষকরা সম্রতি হিমবাহের ৫০০ মিটার নীচে পর্যন্ত পরীক্ষা চালিয়ে সমুদ্রের তাপমাত্রা, লবণাক্ততা, হিমবাহ গলে যাওয়ার হার পরীক্ষা করে দেখেন। জানা গিয়েছে, হিমবাহের নীচের অংশের জলের তাপমাত্রা বেশ কিছুটা বেড়েছে শেষ কিছু বছরে।