Doomsday Clock
আরও দ্রুত ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী৷ হাতে আর মাত্র ৮৯ সেকেন্ড! হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন৷ পৃথিবী ধ্বংস হতে অপেক্ষা আর মাত্র ৮৯ সেকেন্ডর! না, এ কোনও জ্যোতিষ বা তান্ত্রিকের গণনা নয়৷ বলছে, আমেরিকার আটোমিক সায়েন্টিস্টসের বুলেটিন৷ পৃথিবী ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলছে, বিজ্ঞানীদের তৈরি একটি বিশেষ একটি ঘড়ি৷ সেই ১৯৪৭ সাল থেকে পৃথিবীর ধ্বংসের মুহূর্ত গুনে চলেছে এই ঘড়ি৷ বিজ্ঞানীরা যার নাম দিয়েছেন, ‘ডুমস ডে ক্লক’!
What is the Doomsday Clock?
কিন্তু কী এই ডুমস ডে ক্লক? বিশেষ এই ঘড়ির কাঁটা পৃথিবীকে ঘিরে থাকা বিপদের মাত্রা অনুযায়ী চলতে থাকে৷ সেই ১৯৪৭ সাল থেকে চলছে এই ঘড়ি৷ বুলেটিন অব অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টস ও শিল্পী মার্তিল ল্যাংসডর্ফ এই ‘ডুমস ডে ক্লক’ তৈরি করেন৷ সংস্থার দাবি, যখন এই বিশেষ ঘড়ির কাঁটা মধ্যরাতে পৌঁছবে, তখনই ধ্বংস হবে মানব সভ্যতা৷
Climate Change, Nuclear War, and AI Threats
মার্কিন বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, তাঁদের তৈরি ‘ডুমস ডে ক্লক’ পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার দিকেই ইঙ্গিত করছে৷ হাতে সময় আছে মাত্র ৮৯ সেকেন্ড৷ গোটা বিশ্বে ঘটে চলা রাজনৈতিক, সামাজিক, প্রাকৃতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন তাঁরা৷
Doomsday Clock Moves to 89 Seconds to Midnight
আটোমিক সায়েন্টিস্টসের বুলেটিন তাদের বার্ষিক বৈঠকে জানিয়েছে, তারা জলবায়ু পরিবর্তন, পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার, মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতা, মহামারীর এবং সামরিক ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের সব দিক বিবেচনা করে এবছর ঘড়ির কাঁটা আরও এক ধাপ এগিয়েছেন৷
History of the Doomsday Clock
সংস্থার দাবি, গত দু’বছর ধরে ঘড়িটি ৯০ সেকেন্ডে দাঁড়িয়েছিল৷ “যখন আপনি জীবনের একেবারে শেষ ধাপের কাছাকাছি পৌঁছে যান, তখন একমাত্র জিনিস যা আপনি করতে চান না তা হল, আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া,” বলেছেন ড্যানিয়েল হোলজ, গ্রুপের সায়েন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি বোর্ডের এক বিজ্ঞানী৷
Nuclear Programs and Global Cooperation Concerns
সম্প্রতি গোটা বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক যুদ্ধের হুশিয়ারি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং মহামারির মতো বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ছে৷ চলতি মাসেই বিশ্ব-রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ঘটনাও ঘটে গিয়েছে৷ মার্কিন মসনদে বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন সিংহাসনে বসার পরই সংস্থার তরফে ঘড়ির কাঁটা আরও এক ধাপ এগিয়ে দেওয়া হল বলে মত পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের৷ এর আগে ২০২২ সালে শেষবার এই ঘড়ির কাঁটা বদল করা হয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময়৷
A Symbolic Countdown to Global Row
উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া এবং চিনের মধ্যে পারমাণবিক কর্মসূচির ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা৷ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ইউক্রেন যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা বলেছেন৷ পুতিনের সেই ঘোষণা ঘিরেও উদ্বিগ্ন এই বিজ্ঞানীরা৷
বিজ্ঞানীদের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘ ঘড়ির কাঁটা মধ্যরাতের দিকে আরও ১ সেকেন্ড সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল৷ যার অর্থ হল, আমরা সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি, যেভাবে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত শুরু হয়েছে, তা দিনে দিনে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে৷ যুদ্ধ আরও তীব্র হচ্ছে৷ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পারমাণবিক সংঘাতে বদলে যেতে পারে৷ ফলে, পৃথিবী যেহেতু খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে আছে, তাই প্রতিটি সেকেন্ডের পরিবর্তন মানব সভ্যতার কাছে ভয়ংকর দুর্যোগেরই ইঙ্গিত বহন করছে৷’’
আসলে, সভ্যতার ধ্বংস হবে ৮৯ সেকেন্ড, সেটা আদতে প্রতীকী৷ গোটা বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতিকেই ইঙ্গিত করছে এই ঘড়ি৷
আরও পড়ুন-
ITC Hotels Share Price: প্রথম দিনেই ধরাশায়ী ITC Hotels-এর শেয়ার! লাগবে লটারি!
The Earth is rapidly heading towards destruction, with just 89 seconds left on the “Doomsday Clock“! Yes, you read that right—only 89 seconds remain! This isn’t astrology or mysticism; it’s the alarming conclusion drawn by the Bulletin of the Atomic Scientists. The “Doomsday Clock,” created by scientists to symbolize the countdown to humanity’s end, has now moved closer than ever before.
![](https://aajbikel.com/wp-content/uploads/2024/03/ad-728x90-1.png)