ওয়াশিংটন: 'অল ইজ ওয়েল' বুধবার ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইরানের ক্ষেপনাস্ত্র হামলার পর ট্যুইটে এই প্রতিক্রিয়াই জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ পরদিন জানিয়েছিলেন, ইরানের হামলায় কোনও ক্ষতি হয়নি৷ কোনও মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়নি বলেও মার্কিনবাসীকে আশ্বস্থ করেছিলেন ট্রাম্প৷ কিন্তু কিছুই যে ভালো নেই এবং এরফল স্বরূপ ট্রাম্পের আগামী দিনগুলোতেও যে তেমন ভালো কিছু হবে না, এবার হয়তো হারে হারে টের পেতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ শুরু ছাঁটার প্রস্তুতি৷
বুধবার এই হামলার পর ইরানের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম থেকে ঘোষণা করা হয়, আমেরিকাকে লক্ষ্য করে তেহরানের ছোঁড়া ১৫টি ক্ষেপনাস্ত্রে অন্তত ৮০ ‘জন মার্কিন জঙ্গি’র মৃত্যু হয়েছে এবং এই ক্ষেপনাস্ত্রের একটিকেও আটকানো যায়নি৷ দুর্ভাগ্যবশত এই হামলার কয়েকঘণ্টা আগেই মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব সতর্ক করে বলেছিলেন, শুক্রবার ইরাকে ড্রোন হামলায় ইরানি সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশোধ প্রত্যাশিত৷ ইরানের সঙ্গে এই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে এর ফলে স্বরূপ এবার সম্ভবত সামরিক ক্ষমতা খোয়াতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার আগেই তার ডানা ছাঁটার ব্যবস্থা করতে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটি হবে৷ বুধবার পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি একথা ঘোষণা করেন৷
এদিকে সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইরানের রাষ্ট্রপতি হাসান রুহানি বলেছেন, ইরানের প্রতিক্রিয়া, আমরা আমেরিকার বিরুদ্ধে পিছপা হব না৷ আমেরিকা যদি কোন অপরাধ করে থাকে তবে অবশ্যই জেনে রাখা উচিত যে সে তার যথাযোগ্য প্রতিক্রিয়া পাবে৷ বুধবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরাকে অবস্থিত মার্কিন বিমান ঘাঁটি আইন আল-আসাদের রাডার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে৷ হামলার জন্য মধ্য প্রাচ্যের আরও ১০০টি জায়গা টার্গেট করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইরান ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এখন ইরানের ড্রোন হামলার আতঙ্কে ভুগছে যুক্তরাষ্ট্র৷
সোলাইমানিকে মার্কিন বাহিনীর হত্যা এবং ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধ শুরু হতে চলেছে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এর আগেও ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, যুদ্ধ বাঁধাতে চাইলে ইরানকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে৷ জবাবে তেহরানও জানিয়ে দিয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ শুরু করলে কিছুই নিয়ন্ত্রণে থাকবে না৷ তবে ভারতে ইরানের রাষ্ট্রদূত আলী চেগেনি জানিয়েছেন ইরান যুদ্ধের পক্ষপাতী নয়, দেশের প্রত্যেকের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি আশা করে৷ এক্ষেত্রে শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে ভারতের যে কোনও উদ্যোগ বা পরিকল্পনাকে স্বাগত স্বাগত জানিয়েছেন তিনি৷ যা এই বিশ্বে শান্তি ও সমৃদ্ধির সহায়ক হতে পারে৷