বিতর্কিত কপার প্ল্যান্ট নিয়ে তথ্যচিত্র, সাংবাদিককে কালো তালিকাভুক্ত মোদি সরকার

শাম্মী হুদা: ফের কপার প্ল্যান্ট নিয়ে শোরগোল পড়েছে তামিলনাড়ুতে। বেদান্ত নামে এক বেসরকারি সংস্থা তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন এলাকায় কপার প্ল্যান্ট তৈরি করে কীসব কাজকর্ম চালাচ্ছিল। বিষয়টি পরিবেশবিদদের নজরে আসার পরই তা নিয়ে হইচই পড়ে যায়। পরিবেশবিদদের দাবি লোকালয়ে এই কপার প্ল্যান্ট তৈরি হওয়াতে পরিবেশ দূষণ বাড়বে। শুধু তাই নয়, এই প্ল্যান্ট চালু হলে মানুষের পাশাপাশি পরিবেশের

বিতর্কিত কপার প্ল্যান্ট নিয়ে তথ্যচিত্র, সাংবাদিককে কালো তালিকাভুক্ত মোদি সরকার

শাম্মী হুদা: ফের কপার প্ল্যান্ট নিয়ে শোরগোল পড়েছে তামিলনাড়ুতে। বেদান্ত নামে এক বেসরকারি সংস্থা তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন এলাকায় কপার প্ল্যান্ট তৈরি করে কীসব কাজকর্ম চালাচ্ছিল। বিষয়টি পরিবেশবিদদের নজরে আসার পরই তা নিয়ে হইচই পড়ে যায়। পরিবেশবিদদের দাবি লোকালয়ে এই কপার প্ল্যান্ট তৈরি হওয়াতে পরিবেশ দূষণ বাড়বে। শুধু তাই নয়, এই প্ল্যান্ট চালু হলে মানুষের পাশাপাশি পরিবেশের উপরেও নিদারুণ প্রভাব পড়বে। ফসল নষ্ট হয়ে যাবে, পানীয়জল বিষাক্ত হয়ে যাবে, এমনকী জনমানসে নানা রকম রোগব্যধির প্রবণতাও বেড়ে যাবে। দীর্ঘ আন্দোলন ও আইন আদালতের পর কয়েকমাস আগে সরকারি হস্তক্ষেপে এই প্রকল্প রুখে দেওয়া হয়।

সম্প্রতি গ্রিন ট্রাইব্যুনাল নোটিস জারি করে জানায়,এই কপার প্ল্যান্ট চালু হলে পরিবেশের কোনও ক্ষতি হবে না। তারপরই ফের কাজ শুরুর তোরজোর করেছিল বেদান্ত প্রাইভেট লিমিটেড, তবে খবর পেয়েই নড়েচড়ে বসেছে তামিলনাড়ুর সরকার। গ্রিন ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও রুজু হয়েছে। বিষয়টি এখন দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারাধীন। এদিকে এক আমেরিকান ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক কিছুদিন আগে ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে আসেন। তাঁর নাম মার্ক স্কিল্লা। তিনি এখানে পৌঁছেই তুতিকোরিনে চলে যান, তারপর ওই বিতর্কিত কপার প্ল্যান্ট নিয়ে কাজ শুরু করেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল তথ্যচিত্র তৈরি করা। এজন্য বেশ কয়েকজনের ইন্টারভিউ নিয়েছেন তিনি।এদিকে মার্কের এই কাজকর্মের খবর স্থানীয় প্রশাসনের কাছে পৌঁছে যায়। খবর নিয়ে তুতিকোরিন পুলিশ জানতে পারে ওই সাংবাদিক একজন ফ্রিল্যান্সার, এদেশে ভ্রমণের উদ্দেশ্যেই এসেছে। এখানে এসে কপার প্ল্যান্টের মতো বিতর্কিত বিষয় নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করার কোনওরকম সরকারি অনুমোদন তাঁর কাছে নেই।

মনকী, মার্কিন সরকারের কোনও ছাড়পত্রও তিনি দেখাতে পারেননি। এরপরেই মার্ককে দুদিনের মধ্যে ভারত ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় স্থানীয় থানার পুলিশ। সেই নির্দেশ মেনে গতকাল আমেরিকায় ফিরে গিয়েছেন ওই সাংবাদিক, তিনি আর কখনওই এদেশে আসতে পারবেন না। এনিয়ে কপার প্ল্যান্ট বিতর্কে দুই মার্কিন সাংবাদিককে কালো তালিকাভুক্ত করা হল। তথ্যচিত্র নির্মাণের লক্ষ্যে মার্ক ঠিক কাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *