টোকিও: গলা ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন বছর ২৫ এর এক তরুণী৷ কিন্তু সেখানে গিয়ে কেঁচো খুঁড়তে বেড়িয়ে এল কেউটে৷ তাঁর মুখের ভিতরে উঁকি দিতেই, হতবাক চিকিৎসকরা৷ তাঁরা দেখেন ওই তরুণীর গলার ভিতরে ঘুরে বেড়াচ্ছে ছোট্ট, কালো পোকার মতন একটা জিনিস৷
তড়িঘড়ি পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করে দেন চিকিৎসকরা৷ পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই তরুণীর টনসিলের ভিতরে প্রায় ১ ইঞ্চির মতো দীর্ঘ সিউডোটেরানানোভা আজরসি নামে একটি পরজীবী গোলাকার কৃমি রয়েছে৷ ওই তরুণী জানান, গত পাঁচ দিন ধরে গলা ব্যথায় ভুগছিলেন তিনি৷ সঙ্গে অসম্ভব গলা জ্বালাও করছিল তাঁর৷ তিনি জানান, কাঁচা মাছ দিয়ে তৈরি ডিশ ‘সাশিমি’ খাওয়ার পর থেকেই এই সমস্যার সূত্রপাত৷
চিকিৎসকরা তড়িঘড়ি ওই তরুণীর চিকিৎসা শুরু করেন৷ সন্না দিয়ে বার করে আনেন কৃমিটি৷ এর পর অবশ্য দ্রুত সেরে ওঠেন তিনি৷ সম্প্রতি আমেরিকার জার্নাল অফ ট্রপিকাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিনে ঘটনাটি প্রকাশিত হয়েছে৷ ছবিতে দেখা গিয়েছে ওই কৃমিটি প্রায় ৩৮ মিলিমিটার বা ১.৫ ইঞ্চি লম্বা এবং ১ মিলিমিটার চওড়া ছিল৷
টোকিওর সেন্ট লুকের আন্তর্জাতিক হাসপাতালের গবেষকদের কথায়, মানব শরীরের এই ধরনের পরজীবী থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়৷ যাঁরা সুশি বা সশিমি’র মতো কাঁচা মাছের রেসিপি খান, তাঁরা সহজেই এই রোগে সংক্রমিত হতে পারেন৷ এই পরজীবী এবং সিউডোটেরানোভা জেনাস মূলত গলার অংশকেই সংক্রমিত করে৷ যার ফলে গলা ব্যথা, জ্বালা ও কাশি হতে পারে৷
এর আগে চিলিতেও এমন একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল৷ কাঁচা সিফুড ডিশ ‘সিভিচে’ খাওয়ার পর তিন জনের গলায় বাসা বেঁধেছিল এই ধরনের পরজীবী কৃমি৷ গলার পাশাপাশি এই সিউডোটেরানোভা কৃমি পেটেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে৷ যার ফলে পেটে ব্যথা হতে পারে৷ এক্ষেত্রে এন্ডোস্কপি করে এই কৃমি বার করে আনতে হয়৷ অনেক সময় বমির সঙ্গেও কৃমি বেরিয়ে আসতে দেখা যায়৷ ২০০৮ সালে জাপানের এক মহিলা এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলেন৷