ওয়াশিংটন: বয়স ৬০। এখনও চামড়া কুঁচকোয়নি। সাধারণ ছাপোষা ঘরের মেয়ে তেকে রাজকন্যা, সবারই দারুণ পছন্দের সে। পুতুলের বাজারে ভয়ঙ্কর প্রতিযোগিতা সত্ত্বেও এত বছর পরেও কদর কমেনি বার্বির। তার টুইটার অ্যাকাউন্টই সাক্ষ্য দেবে। এখনও ১৫০টি দেশে ৫ কোটি ৮০ লাখ বার্বি বিক্রি হয় প্রতিবছর। ষাটবছর টিকে থাকার জন্য মুখের কথা নয়, দাবি বার্বির ডিরেকটর নাথান বেনার্ডের। গোটা দুনিয়ায় সব বাচ্চাই নামে চেনে বার্বিকে। ১৯৫৯ সালে আমেরিকার নিউইয়র্কে পুতুল মেলায় আবির্ভাবের পর থেকে এপর্যন্ত ১০০ কোটি বার্বি বিক্রি হয়েছে।
বার্বির আবিষ্কারক রুথ হ্যান্ডলার। নিজের ছেলমেয়েদের জন্য পুতুল বানাতে গিয়েই তৈরি করে ফেলেন বার্বিকে। তাঁর মেয়ে বারবারার একমাত্র বার্বিই ছিল পছন্দের। বারবারা থেকেই বার্বি। প্রথম বছরেই বিক্রি হয়েছিল ৩ লাখ বার্বি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে বার্বির ফিগারের মাপ। সেসময়ের কাপড়ের পছন্দের সঙ্গেই পাল্টেছে বার্বির পোষাক।
সোনালি চুলের বার্বিকে নিয়ে গোড়ার দিকে আপত্তি ওঠে তার মাপজোক অবাস্তব। তবে বার্বিকে ঘিরে তৈরি হয় বাচ্চাদের নারীত্বের ধারণা। নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে হাঁটার চারবছর আগে বার্বি মহাকাশচারী বনেছিল। ১৯৬৮ সালে প্রথম কালো বার্বি ডল, ক্রিস্টি বাজারে আসে।
এখন অবশ্য ৫৫ ভাগ বার্বি পুতুলেরই সোনালি চুল আর নীল চোখ নেই। লস অ্যাঞ্জিলেস বিমানবন্দরের কাছেই একটি বিরাট হ্যাঙারে একশোরও বেশি কর্মী নিপুনহাতে বানিয়ে চলেছেন স্বপ্নের বার্বি পুতুল। সে চিরযুবতী, স্বাধীন আর ক্যারিয়ারমুখী।