দেখতে পাখির মতো, আছে মস্তবড় পাখা! মিলল উড়ন্ত ডায়নোসরের হদিশ

দেখতে পাখির মতো, আছে মস্তবড় পাখা! মিলল উড়ন্ত ডায়নোসরের হদিশ

1ee3bb6e5f78717675b3f88f11594040

নিউ ম্যাক্সিকো: কয়েক কোটি বছর আগে নিউ ম্যাক্সিকোতে বাস করত এক বিশেষ প্রজাতির ডায়নোসর৷ যাদের শরীরে ছিল পাখির মতো দুটি পাখা৷ ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’ নামে একটি জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বিশেষ প্রজাতির ডায়নোসরই সম্ভবত পৃথিবীর বুকে শেষ র্যা পটর৷

সম্প্রতি প্রকাশিত ওই রিপোর্ট বলছে, বিজ্ঞানীরা যে জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছে, তাতে দেখা গিয়েছে পাখাওয়ালা ওই ডায়নোসরগুলি আকারে ছিল খুবই ছোট৷ তাদের থাবার আয়তন ছিল মাত্র পাঁচ ইঞ্চি৷ বিলুপ্তির আগে এরাই ছিল শেষ র্যা পটর প্রজাতির ডায়নোসর৷ বিদ্যুতের গতিতে ছুটে চলা এই ডায়নোসরের লেজটি ছিল বেশ লম্বা চাবুকের মতো এবং খুবই শক্তিশালী৷ যার সাহায্যে চিতা বাঘের মতো এরা শিকার ধরতে পারত৷

এই প্রজাতির ডায়নোসরের জীবাশ্মটি খুঁজে বার করেছেন নিউ ম্যাক্সিকো মিউজিয়াম অফ ন্যাচরাল হিস্ট্রি অ্যান্ড সায়েন্সের জীবাশ্ম বিশেষজ্ঞরা৷ পাখাওয়ালা এই ডায়নোসরের নাম দেওয়া হয়েছে ডিনিওবেলেটর৷ যার অর্থ ‘নাভাজো যোদ্ধা’৷

পেনসিনভ্যানিয়ার স্টেট মিউজিয়ামের বিশেষজ্ঞরা আবিষ্কৃত জীবাশ্মটি নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালাচ্ছেন৷ তাঁরা জানান, র্যা পটরদের মধ্যে এই প্রজাতির ডায়নোসরই ছিল  শেষ৷ ডিনিওবেলেটরদের দাঁত ছিল খুব তীক্ষ্ণ৷ সামনের পা ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী৷ যা শিকার ধরার জন্য ছিল উপযুক্ত৷ কোমড় পর্যন্ত এদের দৈর্ঘ্য ছিল সাড়ে তিন ফুট৷ তবে লেজ নিয়ে প্রায় ছয়-সাত ফুট হবে৷  

‘জুরাসিক পার্ক’ বা ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’ দেখার পর স্বাভিবকভাবেই ডায়নোসর সম্পর্কে আমাদের মনে একটা ছবি তৈরি হয়েছে৷ কিন্তু বলে রাখা ভালো হলিউডি ছবির তুলনায় পাখাওয়ালা এই ডায়নোসরের আয়তন ছিল  অনেকটাই কম৷

একটি নেকড়ের চেয়ে আয়তনে সামান্য বড় ছিল পাখাওয়ালা এই ডায়নোসর৷ সেই তুলনায় তাদের ওজন ছিল হালকা৷ মাত্র ৫০ পাউন্ড৷ এদের গতি ছিল তীব্র৷ ধারলো নখ ও থাবায় দিয়ে ছোঁ মেরে শিকার করত টিকটিকি, পাখি, মাছ ও অন্যান্য প্রাণী৷ খাবার নিয়ে নিজেদের মধ্যে হামেশাই এদের মারামারি হতো বলে জানিয়েছেন জীবাশ্মবিদ জাসিঙ্কসি৷ তিনি বলেন, বিশেষ করে মাংস নিয়ে মারামারি হতো দুই বা ততোধিক পুরুষ ডায়নোসরের মধ্যে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *