করাচি: পাকিস্তানের জুলুম থেকে মুক্তি চায় পাক অধিকৃত কাশ্মীর। এই খবর নতুন কিছু নয়। কিন্তু, ওই 'চুরি করা' এলাকায় 'ঠুঁটো জগন্নাথের' মত এক সরকার বসিয়ে রেখেছে পাক সেনা এবং আই এস আই। মূল উদ্দেশ্য, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ সরবরাহ করা। পাক অধিকৃত কাশ্মীর বা পিওকে'র সরকারকে 'আজাদ কাশ্মীরের' সরকার বলে ডাকে পাকিস্তান। এবার ওই সরকারের DGPR (ডাইরেক্টর জেনারেল পাবলিক রিলেশন) পাক সেনা এবং পাক সরকারের বিরুদ্ধে আজাদি'র ডাক দিয়েছে। এই ঘটনার পর যারপরনাই অস্বস্তিতে পাক সেনাপ্রধান কমর জাভেদ বাজওয়া এবং তার হাতের পুতুল পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
পাক অধিকৃত কাশ্মীর বা পিওকে, যাকে পাকিস্তানিরা আজাদ কাশ্মীর বলে থাকে – সেখানকার ওয়েবসাইটে ডাইরেক্টর জেনারেল পাবলিক রিলেশন এর বক্তব্যে প্রকাশিত হয়েছে – আজাদ জম্মু কাশ্মীরের জনতা পাকিস্তানের থেকে আজাদি চায়। পাকিস্তান পুলিশ এবং সেনা বিপুল মাত্রায় মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। সাধারণ জনতার উপর অত্যাচার চালাচ্ছে এবং সন্ত্রাসবাদ ছড়াচ্ছে। শেষ ৭০ বছরের পাক শাসকের শোষণের বিরুদ্ধে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তবে সি মেসেজে প্রকাশিত হওয়ার কিছুক্ষন পরেই তা হওয়া হয়ে যায়। কারণটা স্বাভাবিক, পাক সেনা পিওকে-এর 'আজাদ সরকারের' মুখপাত্রের উপর হামলা করে মেসেজ ডিলিট করতে বাধ্য করে।
মুখে আজাদির কথা বললেও পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং গিলগিট-বালতিস্তান নিয়ন্ত্রণ করে পাক সেনা প্রশাসন। ওই জায়গায় পাক সেনার তত্বাবধানে লস্কর-ই-তৈবা, জইস-ই-মহম্মদ সহ কয়েকশ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ক্যাম্প করে রয়েছে। তাঁরা আম জনতার উপর অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর জনতার মৌলিক বাঁচার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ধুলোয় মিশেছে মহিলাদের সম্মান। মনে রাখা প্রয়োজন ২০১৬ সালে পাক অধিকৃত কাশ্মীরেরই 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' চালিয়েছিল ভারতীয় সেনার স্পেশাল ফোর্স (ফোর প্যারা)।