পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে ফাটল ভেঙে দু’টকুরো, বড় বিপদের ইঙ্গিত নাসার

পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে ফাটল ভেঙে দু’টকুরো, বড় বিপদের ইঙ্গিত নাসার

cb00ae0e2387b90dc6df600d949d8bc0

 

নিউ ইয়র্ক:  নতুন করে আশঙ্কার খবর শোনাল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা৷ পৃথিবীকে ঘিরে থাকা চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের ফাটল আরও বড় হয়ে গিয়েছে৷ এমনমকী একটি ফাটল বাড়তে বাড়তে তা ভেঙে দু’ টুকরো হয়ে গিয়েছে বলে জানালেন বিজ্ঞানীরা৷ 

আরও পড়ুন- মুহূর্তের প্রতিচ্ছায়া নাকি প্রতিবিম্বিত মুহূর্ত? আজ বিশ্ব ফোটোগ্রাফি দিবস

 

পৃথীবিকে ঘিরে থাকা এই চৌম্বকীয় ক্ষেত্রই সৌর রশ্মীর দাবদাহ থেকে পৃথিবীর প্রণিকূলকে অনেকাংশে রক্ষা করে৷ এর উপর পৃথিবীর রায়ুস্তরে পরিবর্তনও অনেকাংশ নির্ভরশীল৷ চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের ফাটল দু’টুকরো হওয়ার ফলে মানবজাতিকে আরও বেশি করে সহ্য করতে হবে ভয়ঙ্কর সৌরকণা ও সৌর বিকিরণ৷ নাসার রিপোর্ট অনুযায়ী, এর ফলে ক্ষতি হতে পারে ওই এলাকার উপর দিয়ে প্রদক্ষিণরত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন,  কৃত্রিম উপগ্রহগুলির গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ। এছাড়াও ওই এলাকার টেলিযোগাযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ ও নেভিগেশন ব্যবস্থার উপরও আঘাত নেমে আসতে পারে৷ 

আরও পড়ুন- জাহাজ ডুবে সমুদ্রে মিশছে তেল, উদ্ধার কাজে ভারতের চেতক-ধ্রুব

 

গত কয়েক দশক ধরেই দক্ষিণ আমেরিকা এবং দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের উপরে থাকা এই চৌম্বক ক্ষেত্রে ফাটলটি রয়েছে৷ এটি পরিচিত ‘সাউথ আটলান্টিক অ্যানোমালি (এসএএ)’ নামে৷ গত শতাব্দীর সাতের দশক থেকেই পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রটি দুর্বল হয়ে পড়তে শুরু করে। গত ৫০ বছরের সবচেয়ে বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এই চৌম্বক ক্ষেত্রটি৷ সম্প্রতি এটি ভেঙে দু’ টুকরো হয়ে গিয়েছে৷ এসএএ-র উপর ক্রমাগত নজর রাখছেন নাসার বিজ্ঞানীরা৷ যে ভাবে পশ্চিম দিকে ফাটলটি বেড়ে চলেছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তাঁরা৷ এর ফলে আগামী দিনে বিপদের আশঙ্কা করছে নাসা৷ 

আরও পড়ুন- একের পর এক গণেশ মূর্তি ভাঙলেন মুসলিম মহিলা, নেটদুনিয়ায় ভাইরাল ভিডিও

 

গত মে মাসে  ‘ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (এসা)’ জানিয়েছিল, গত ২০০ বছরে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র ৯ শতাংশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। চৌম্বক ক্ষেত্রের যে অংশে ফাটলটি চওড়া হয়েছে, সেটি ভেঙে দু’টুকরো হয়ে হিয়েছে৷ এই অংশে চৌম্বক ক্ষেত্র গত ৫০ বছরে ৮ শতাংশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে এর পিছনে ভূ-প্রাকৃতিক কারণই দেখছেন বিজ্ঞানীরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *