ইতালি : মোনালিসাকে ইতালিতে ফেরত দেওয়ার দাবি জোরদার হচ্ছে। লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মৃত্যুর ৫০০ বছর উপলক্ষে এই দাবি জানিয়েছেন ইতালির উপ প্রধানমন্ত্রী সালভিনি। সবাই তখন মোনালিসাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবেন।
দা ভিঞ্চি ১৪৫২ সালে জন্মেছিলেন ইতালির ফ্লোরেন্সে, কিন্তু ১৫১৯ সালে মারা যান ফ্রান্সে। এখন তাঁর মোনালিসা রয়েছে প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামে। মোনালিসার রহস্যময় হাসি দেখতে প্রতিদিনই হাজার হাজার দর্শক ভিড় জমান সেখানে।
গত জুনে ইতালিতে সালভিনি এবং লুইদি ডি মেয়ো সরকার গড়ার পর থেকেই ফ্রান্সের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক তলানিতে। নানা ইস্যুতে দুই সরকারের সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায়। নিয়ে-তুরিন রেললাইন, উদ্বাস্তু সমস্যা নিয়ে বিবাদ চলছেই। সেইসঙ্গে যোগ হয়েছে দা ভিঞ্চির উৎসবে তাঁর শিল্পকর্ম ইতালিতে নিয়ে আসাও।
দা ভিঞ্চির মৃত্যুবার্ষিকী নিয়ে নানারকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে ইতালি। চলবে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত। শুধু শিল্পই নয়, তাঁর নানা বৈজ্ঞানিক ভাবনাচিন্তা নিয়েও হবে আলোচনাসভা। ইতালির দেড় লাখেরও বেশি নাগরিক ল্যুভর মিউজিয়ামে রাখা মোনালিসাকে ফ্লোরেন্সে ফিরিয়ে আনার জন্।য দরখাস্ত দিয়েছেন। এক শতাব্দী আগেও ফ্লোরেন্সের উফিজি গ্যালারিতেই ছিল মোনালিসা।এই অনুরোধ পত্রপাঠ ফিরিয়ে দিয়েছে ল্যুভর। মোনালিসার নাম ইতালিতে লা জিওকোন্ডা। ১৫০৩ সালে টাস্কানের এক ধনী ব্যবসায়ীর স্ত্রী লিসা দেল জিও কোন্ডোর মুখচিত্রের কাজ শুরু করেন দা ভিঞ্চি ফ্লোরেন্সেই।
কিন্তু শিল্প ঐতিহাসিকদের মতে, তিনি যখন ফ্রান্স চলে আসেন, তখন তিনি সেটি সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। ফ্রান্সের রাজ পরিবার সেটি কিনে নেন। তখন মোনালিসা ছিল ভার্সাইয়ের প্রাসাদে। ফরাসি বিপ্লবের পর তা চলে আসে ল্যুভরে।১৯১১ সালে চুরি গিয়েছিল মোনালিসা। চুরি করেছিলেন এক দেশপ্রেমী ইতালিয়ান। তাঁর বক্তব্য ছিল, মোনালিসা ইতালির। তাই তিনি নিয়ে তাকে এসেছেন ফ্লোরেন্সে। উদ্ধারের পর স্পল্প সময়ের জন্য মোনালিসা ছিল উফিজিতে। তারপর ফেরত চলে আসে ল্যুভরেই।