টোকিও: বিগত কয়েক মাস ধরে ভারত এবং চিনের সম্পর্ক নিয়ে অনেক জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। লাদাখ সীমান্তের ঘটনার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তাপ বেড়েছে অনেক। তার রেশ এখনো পর্যন্ত বহাল কারণ অরুণাচল সীমান্ত এবং জম্মু কাশ্মীর ইস্যু নিয়েও কার্যত দখলদারি করার চেষ্টা করছে বেজিং সরকার। ঠিক এই সময় দাঁড়িয়ে ভারতের সমর্থন করে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন দলাই লামা। তিনি স্পষ্ট বললেন, চিন সংস্কৃতির বৈচিত্র্য বোঝে না, তাই তিনি ভারতেই থাকতে চান।
লামার বক্তব্য, সেই দেশে সাধারণ মানুষের জনজীবনে কমিউনিস্ট নেতাদের অত্যাধিক নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এর পাশাপাশি বৈচিত্রের ব্যাপারে কোনো রকম জ্ঞান রাখে না বেজিং সরকার। সংস্কৃতির বৈচিত্র তারা বোঝে না বলেই আক্রমণ শানান দলাই লামা। আসলে চিনে সংখ্যালঘুদের উপর যে অত্যাচার হচ্ছে সেই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তিনি। তবে পাশাপাশি জানিয়েছেন, চিনা ভাই-বোনদের প্রতি তাঁর কোন বিদ্বেষ নেই। বরং তিনি কমিউনিস্ট এবং মার্কসবাদী চিন্তাভাবনা সমর্থন করেন। উল্লেখ্য, দলাই লামাকে অনেক আগে থেকেই বিপদজনক বিভেদকারী বলে চিহ্নিত করেছিল বেজিং সরকার। তারপর থেকেই তিনি সে দেশ ছাড়া। ১৯৫০ সালে চিন তিব্বত অধিগ্রহণ করে নেওয়ার পর তিনি ভারতে পালিয়ে আসেন এবং এখনও এখানেই রয়েছেন।
সম্প্রতি, জাপানের টোকিও থেকে সম্প্রচারিত একটি অনলাইন সাংবাদিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন এই ধর্মগুরু। সেখানেই ভারত এবং চিন সম্পর্কিত ভাবধারা প্রকাশ করেন দলাই লামা। সব কিছু নিয়ে কথা বললেও তিনি চিনের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের প্রসঙ্গে জোরাল অবস্থান নিয়েছেন। যে ভাবে সেই দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে সরব হয়ে এমন মন্তব্য করেছেন দলাই লামা।