কলম্বো: একে রামে রক্ষে নেই, সুগ্রীব দোসর৷ করোনা ভাইরাসের গ্রাসে ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি বেহাল। গণসংক্রমণ ঠেকাতে কারফিউ জারি করা হয়েছে৷ তার মধ্যেই খাদ্যসঙ্কটে জেরবার দেশটি৷ সমস্যা এতটাই তীব্র আকার ধারণ করেছে যে, জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে দেশের প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে৷
সূত্রের খবর, শ্রীলঙ্কার এই পরিস্থিতির নেপথ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক পতন। মুদ্রাস্ফীতির জেরে দেশে অস্বাভাবিক আকার ধারণ করার মধ্যেই তার প্রতিক্রিয়ায় দেশের বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলোয় এখন না কি আর বৈদেশিক মুদ্রা নেই! ফলে বিদেশের কাছ থেকে খাবার কিনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়াও এখন শ্রীলঙ্কার পক্ষে ভীষণ কঠিন৷ দেশের এহেন অর্থনৈতিক অবস্থায় যেন কালোবাজারিরা মুনাফা লুঠতে না পারেন, তা জন্য অবশ্য এর মধ্যেই পদক্ষেপ করেছেন প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে। জানা গিয়েছে যে, চাল এবং চিনির মতো অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যসামগ্রী মজুত করা রোধ করতে তিনি জরুরি আইন অবিলম্বে কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা আর তা মজুত করে রাখতে পারবেন না।
এই আইন ঠিকঠাক বলবৎ হয়েছে কি না, সেদিকে নজর রাখতে প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে ক্ষমতা তুলে দিয়েছেন সরকারি আধিকারিকদের হাতে। এই ক্ষমতার সাহায্যে সরকারি আধিকারিকদের একটি গোষ্ঠী দেশে মজুত রাখা খাদ্যসামগ্রী সরকারের তত্ত্বাবধানে নেওয়া এবং মজুতদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রয়োগের ক্ষমতা ভোগ করতে চলেছেন। এমনকি শ্রীলঙ্কান সরকার অত্যাবশ্যক খাদ্যপণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মূল্য বহাল করতে চলেছে। জানা গিয়েছে যে, এক্ষেত্রে অপরিহার্য পরিষেবা সচল এবং স্বাভাবিক রাখতে সেনাবিভাগের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে কমিশনার জেনারেল পদে আনা হয়েছে৷ কিন্তু এত কিছুর পরেও দেশের দোকানগুলোর সামনে গুঁড়ো দুধ, রান্নার জ্বালানি এবং অন্য খাদ্যসামগ্রীর জন্য লাইন দিতে হচ্ছে আমজনতাকে। ফলে বাধ্য হয়েই ১৬ দিনের কারফিউ ঘোষণা করতে হয়েছে৷ আর্থিক সমস্য়া মেটাতে বাংলাদেশ থেকে ক্রমাগত কারেন্সি সোয়্যাপ নীতির ওপর নির্ভর করে টাকা নিলেও পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি৷