টেক্সাস: একি কোনও অলৌকিক ঘটনা? নাকি এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে কোনও অজানা রহস্য? উত্তর খুঁজতে গিয়ে গোলক ধাঁধায় পড়েছেন বিজ্ঞানীরাও৷ চড়ছে উত্তেজনার পারদ৷ টেক্সাস-এর সাগর পাড়ের অদ্ভূত ঘটনায় হাড়হিম!
আরও পড়ুন- ‘বুঝতে পারি আমরা সুরক্ষিত নই, কী ভাবে নিজেকে ও পরিবারকে বাঁচিয়েছিলেন জেলেনস্কি?
বিপন্ন প্রজাতির পাখি, সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী, কচ্ছপ ইত্যাদি নিয়ে গবেষণার কাজ চালাতে সপ্তাহে অন্তত দু’দিন সাগর পাড়ে আসেন গবেষকরা৷ আর সেখান থেকেই উদ্ধার হচ্ছে অদ্ভূত সব পুতুল! তবে কোনওটিই আস্ত নয়৷ কোনও পুতুলের মাথা ভাঙা, কোনওটির পা৷ কোনও পুতুলের মাথায় আবার একটাও চুলও অবশিষ্ট নেই৷ হাত-পা কোনও কোনও মতে লেগে রয়েছে শরীরের বাকি অংশের সঙ্গে৷ যেন কোনও হরর মুভির দৃশ্য৷ এমনই ভয়ঙ্কর চেহারার সব পুতুল একের পর এক এসে জমা হচ্ছে টেক্সাস-এর সমুদ্রের পাড়ে। আর এই অদ্ভূত পুতুলেই ঘনাচ্ছে রহস্য৷
টেক্সাস সমুদ্র সৈকতের ৪০ মাইল উপকূলরেখা বরাবর গবেষণার কাজ চালাচ্ছেন টেক্সাস মেরিন সায়েন্স ইনস্টিউট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। আর প্রায় প্রতিদিনই এই অঞ্চল থেকে উদ্ধার হচ্ছে বিকৃত পুতুল৷ এখনও পর্যন্ত টেক্সাস সমুদ্র সৈকতের ৪০ মাইল উপকূলরেখা বরাবর ৩০-টিরও বেশি পুতুল পেয়েছেন গবেষকরা। সেই সকল পুতুলের ছবি পোস্টও করেছেন তাঁরা৷ জেস টানেল নামে এক গবেষকের কথায়, কোথা থেকে রোজ রোজ এই পুতুলগুলো ভেসে আসছে, তা সত্যিই রহস্যময়। নেটমাধ্যমে এই খবর প্রকাশ করতেই তা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে৷ এমনকী এক জন ব্যক্তি ২৭ ইউরো দিয়ে এমনই একটি পুতুল কিনে ফেলেন।
গবেষকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, টেক্সাস-এর সমুদ্র থেকে উদ্ধার হওয়া বাকি পুতুলগুলি তাঁরা পুতুল সংগ্রহশালায় পাঠিয়ে দেবেন। তবে এই ঘটনায় বেশ আতঙ্কের মধ্যেই রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ টেক্সাস সমুদ্রতটে কি সত্যিই ‘ভূতুড়ে’ কাণ্ড ঘটছে? হানা দিচ্ছে অদৃশ্য শক্তি? সৈতক ঘিরে ঘুরপাক খাচ্ছে এই প্রশ্ন৷ রহস্য ভেদের অপেক্ষায় গবেষকরা৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>