লন্ডন: ২০২০ সালের শুরু থেকেই গোটা বিশ্ব ত্রাসের মধ্যে রয়েছে। আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। ২০২১ সালে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ভাইরাস দাপট চূড়ান্ত ছিল। তারপর থেকে কিছুটা হলেও করোনা কমতে শুরু করেছে। মাঝে তিন তিনটি ঢেউ দেখেছে ভারত। অন্য দেশে আরও কয়েকটি ঢেউ এসেছে। পাশাপাশি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট মাঝে ব্যাপক সংক্রমণ বৃদ্ধি করেছিল। তবে এখন সেটাও নিয়ন্ত্রণেই বলা যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে বেশ কয়েকটি দেশে। তাহলে কি করোনার নতুন কোনও প্রজাতি এল?
আরও পড়ুন- সুযোগ এলেও ছাড়েননি দেশ, মায়ের ওষুধ খুঁজতে গিয়ে রুশ বোমায় ছিন্নভিন্ন ভ্যালেরিয়া
সম্প্রতি লক্ষ্য করা হয়েছে, ব্রিটেনে বেশ কয়েক দিনের মধ্যে ব্যাপক বেড়েছে ভাইরাস সংক্রমণ। বিগত এক মাসের মধ্যে এই প্রথম সে দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ১ লক্ষতে পৌঁছে গিয়েছে। মঙ্গলবার সে দেশের সংক্রমণ ৭৭.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই অনুমান করা হচ্ছে, এটি হয়তো কোনও নতুন কোভিড প্রজাতি। আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে দিয়েছিল যে, ওমিক্রন শেষ করোনা প্রজাতি নয়। এরপর আরও প্রজাতি আসবে যা তার থেকেও বেশি সংক্রামক হবে। এবার আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, ব্রিটেন সহ একাধিক দেশে হয়তো তেমন কোনও প্রজাতি ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও স্বস্তির ব্যাপার এই, সংক্রমণ বাড়লেও সেভাবে মৃত্যু বাড়েনি। পরিস্থিতি বুঝে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনার BA.2 স্ট্রেনের কারণেই এই সংক্রমণ বৃদ্ধি ঘটছে।
এদিকে আবার করোনার ‘আঁতুর ঘর’ চিনে ফের সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে৷ বেশকিছু দিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আবার চোখ রাঙাতে শুরু করেছে করোনা৷ করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগে চিন৷ শুক্রবার উত্তর-পূর্ব চিনের শিল্পনগরী চাংচুনে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে শহরের প্রায় ৯০ লক্ষ মানুষ গৃহবন্দি হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করে বলছেন যাতে কেউ কোভিড বিধি না ভাঙে। মাস্ক পরা এবং পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাতে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে।