ফের মাথাচারা দিতে পারে করোনা, লকডাউন তোলা হোক ধাপে ধাপে: WHO

ফের মাথাচারা দিতে পারে করোনা, লকডাউন তোলা হোক ধাপে ধাপে: WHO

লন্ডন:  কোভিড-১৯ এর উপর নজর রেখেই প্রতিটি দেশে ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করতে হবে লকডাউন৷ সেইসঙ্গে অবশ্যই তৈরি থাকতে হবে ভবিষ্যতের জন্য৷ কারণ, যে কোনও সময় ফের মাথাচারা দিতে পারে করোনাভাইরাস৷ সংক্রমণ দেখা দিলেই পুনরায় লাগু করতে হবে বিধি নিষেধ৷ এমনটাই জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)৷ 

শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মাইক রেয়ান বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের কর্মীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে৷ পরিযায়ী ছাত্রাবাস এবং কারাগারের বন্দিদের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে৷ করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে চলে এলেও, প্রতিটি মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে৷ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে৷ সেই সঙ্গে প্রতিটি দেশে সন্দেহভাজনদের টেস্টিং অবশ্যই চালিয়ে যেতে হবে৷  

রায়ানের কথায়, ‘‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে প্রতিটি দেশেকেই নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে৷ প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে৷  তিনি জানান, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় বয়স্কদের মধ্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে৷ অন্যদিকে, সিঙ্গাপুরে সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ডর্মেটরিগুলোতে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা৷ ‘‘একটা সামান্য স্ফুলিঙ্গ থেকে নিমেষে আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে এই সংক্রমণ৷’’ কিন্তু  সামাজিক, মানসিক এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে লকডাউন চালিয়ে যাওয়া সরকারের পক্ষেও এক কঠিন কাজ৷ 

তিনি বলেন, ‘‘আমাদের আশঙ্কা, সতর্কতা না মানলে এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়৷’’ প্রতিটি মানুষকে নতুন অভ্যেস তৈরি করতে হবে। বেঁচে থাকার ধরণধারণ বদলে ফেলতে হবে। জীবনযাপন করতে হবে আরও স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে।রায়ন বলেন, ধীরে ধীরে লকডাউন তুলতে শুরু করেছে একাধিক পশ্চিমী দেশ৷ হাইতি থেকে সোমালিয়া এবং ইয়েমেনে তোলা হচ্ছে লকডাউন৷ এতে বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে বই কমছে না৷ 

এদিকে, করোনা ভাইরাস পেন্ডামিক শেষ হতে দীর্ঘ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস। তিনি বলেন, আমাদের অনেক দীর্ঘ পথ পারি দিতে হবে এবং অনেক কাজ করতে হবে। তবে তাঁর দাবি, করোনা নিয়ে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ করেছে হু৷ জানুয়ারি মাসের শেষেই সারা বিশ্বে জরুরি পরিস্থিতি জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ নিজেদের প্রস্তুত হওয়ার জন্য সারা বিশ্বকে যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে৷ কারণ চিন ছাড়া সেই সময় সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ৮০৷ তখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যু হয়নি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *