ওয়াশিংটন: করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত বিশ্বের ৭০ লক্ষ মানুষ। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে চার লক্ষেরও বেশি মানুষের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, প্রবীণ এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস প্রাণঘাতী। কমবয়সি এবং সুস্থ সবল মানুষ এই রোগের সঙ্গে লড়াই করে ফিরে এসেছেন। কিন্তু আমেরিকার ফ্লোরিডার একদল গবেষক বলছেন, সম্ভবত মিউটেট করে অর্থাৎ চরিত্র বদলে আরও স্থায়ী এবং ঘাতক চেহারা নিচ্ছে কোভিড-১৯। এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত না হলেও, কোভিড-১৯ ভাইরাসের বর্তমান গুণাবলিতে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য দেখেছেন যা ভীতিপ্রদ।
বিশ্বজুড়ে চলছে এই কোভিড-১৯-এর প্রতিষেধক আবিষ্কারের কাজ। তার জন্য চেষ্টা চলছে জীবাণুটির চরিত্র বোঝার। সেই কাজ করতে গিয়েই ফ্লোরিডার স্ক্রিপ্স রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকরা খেয়াল করেছেন ভাইরাসটি জিনগতভাবে সামান্য মিউটেট করেছে। তার মধ্যে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়েছে যা আগে দেখা যায়নি। এই নতুন চেহারায় আরও বেশি সংক্রামক হতে পারে তা বলে মনে করছেন গবেষকরা। আরও কার্যকরী এবং ‘স্পাইক’ দিয়ে আরও বেশি করে কোষ বেঁধে ফেলার ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে তার। স্ক্রিপ্স রিসার্চ ভাইরোলজিস্ট হিয়েরিউন চো বলছেন, যে ভাইরাসগুলি মিউটেট করেছে তারা বাকিদের থেকে আরও বেশি সংক্রামক।
গবেষণায় বলা হয়েছে বেশিরভাগ জীবাণুই একটা পর্যায় পর্যন্ত মিউটেট করে কিন্তু তা সবক্ষেত্রে সংক্রমণের ওপর প্রভাব ফেলে না। সার্স-কোভ-২ ভ্যারিয়ান্টের মধ্যে ডি৬১৪জি মিউটেশন ঘটেছে যা এর আগে দেখা যায়নি। স্ক্রিপ্স রিসার্চ দফতরের সহ চেয়ারম্যান মাইকেল ফারজান বলছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও দৃঢ় হয়েছে এই ভাইরাসটি এবং যতক্ষণ না তার নিজের প্রয়োজন পড়ছে তা নিজেকে ভেঙে পড়তে দেবে না। বলা যায়, আরও স্থায়ী হয়েছে তা। দুনিয়ার মানুষ আশায় বসে আছে কবে প্রতিষেধক তৈরি হবে। এমতাবস্থায় মার্কিন গবেষকদের এই বার্তা আরও ভীতিজনক তা বলাই বাহুল্য।