চিনের চিকেন করোনা! খাদ্যের মাধ্যমেও ভাইরাস? আশ্বস্ত করল WHO

যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সংস্থা এই খবরে খুব একটা বিচলিত নয়। তারা জানিয়েছে, খাদ্যের মাধ্যমে এই ভাইরাস বাহিত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।

2fd9227e836401f9b7b4bd8d670d91b7

চিন: করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যেভাবে চিনের নাম জড়িয়ে গেছে তা কোনওভাবেই ছাড়ানো সম্ভব নয়। এমনকী চিন যদি এই রোগের কোনও অব্যর্থ ওষুধ কিংবা প্রতিষেধক বের করে ফেলে তাতেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হবে না। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার মতো কিছু দেশ এই অতিমারির জন্য সরাসরি চিনকেই দায়ী করেছিল, যার জন্য ব্যাহত হয়েছে ওই দেশগুলির সঙ্গে চিনের সম্পর্ক। তবে, এবার ফের নতুন উপায়ে করোনা বাহিত হওয়ার খবর এল শি জিনপিংয়ের দেশ থেকে। জানা গেছে, আমদানিকৃত মুরগির মাংসের মধ্যে বাকি নোভেল করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে।

98a5876231d7d3ad32dae19957a1f56b
ব্রাজিল থেকে আমদানিকৃত চিকেন উইংসে পাওয়া গেছে করোনা ভাইরাস।  

চিকেন উইংস অর্থাৎ মুরগির ডানার যে অংশ থাকে, তাই বরফীকৃত অবস্থায় আমদানি করা হয়েছিল ব্রাজিল থেকে। গত বুধবার দক্ষিণ চিনের শেনজেং বন্দরে সেই আমদানি হওয়া মাংসের একটি ব্যাচের মধ্যে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে সেখানকার মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় ওই অঞ্চলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সংস্থা এই খবরে খুব একটা বিচলিত নয়। তারা জানিয়েছে, খাদ্যের মাধ্যমে এই ভাইরাস বাহিত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। ব্রাজিলিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর অ্যানিমাল প্রোটিন জানিয়েছে, মাংসের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখনও পর্যন্ত নেই।

9e017af6834dd3e4c70b2c8719e568a0
সংশ্লিষ্ট সমস্ত কর্মীদের করানো হয়েছে পরীক্ষা। 

যদিও রিপোর্ট অনুযায়ী, কোনও খাদ্যদ্রব্য বা তার প্যাকেট যদি জীবাণু বহন করে তবে তা ছুঁলে এবং সেই হাত নাকে মুখে লাগলে সংক্রমণ হতেই পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলছে, এখনও খাবারের মাধ্যমে জীবাণু ছড়ানোর বৈজ্ঞানিক সত্যতা নেই। এই জীবাণু ছড়ানোর জন্য কোনও প্রাণী এবং মানুষের শরীরে প্রবেশ এবং বসবাস করতে হয়। এদিকে শেনজেনের এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট সমস্ত কর্মীদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একই ব্র্যান্ডের অন্য পণ্যের ওপরেও চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। অবশ্য এই প্রথম নয়, জুলাই মাস থেকে মোট সাতবার খাদ্যদ্রব্যে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে।    
   

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *