ক্যানবেরা: বর্তমানে গোটা বিশ্ব করোনা নামক মারণ ভাইরাসের আতঙ্কে ত্রস্ত৷ প্রায় দেড় বছর ধরে বিশ্ববাসী করোনার সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে৷ এখনও করোনা প্রজাতি পরিবর্তন করে আক্রমণ জারি রেখেছে৷ এবার তৃতীয় বারের জন্য বিশ্বের বুকে আছড়ে পড়তে চলেছে এই মারণ ভাইরাসটি৷ ভাইরাসটি নিয়ে অনবরত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা৷ সম্প্রতি এক গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য বেশ চাঞ্চল্যকর৷ গবেষণায় জানা গিয়েছে, ২০ হাজার আগে বর্তমানে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বলে পরিচিত দেশটি করোনা ভাইরাসের কবলে পড়েছিল৷
কারেন্ট বায়োলজি নামে এক বিজ্ঞান ভিত্তিক গবেষণাপত্রে এই গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে৷ মানব দেহের জিনোম পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে৷ এই পরীক্ষা থেকেই বিবর্তিত তথ্য পাওয়া গিয়েছে। অতীতের অতিমারির বিষয়ে এবং মানুষের ওপর এর প্রভাব সম্বন্ধে জানতে বিশ্বজুড়ে ২৬টি পৃথক জনজাতির ২,৫০০ মানুষের জেনোম পরীক্ষা করেন৷ গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, বর্তমানে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বলে পরিচিত দেশটির মানুষ ২০ হাজার বছর আগে করোনা ভাইরাসের কবলে পড়েছিলেন৷ গবেষকরা সেখান থেকেই ৪২টি এমন জিনের খোঁজ পান, যেগুলি করোনা ভাইরাস অতিমারির আগের রূপ থেকে বিবর্তিত হয়ে তৈরি হয়েছে।
এই গবেষণা থেকে আরও জানা গিয়েছে, জেনেটিক সংকেত অনুযায়ী চিন, জাপান এবং ভিয়েনামের পাঁচ রকমের জনজাতির মানুষের শরীরে এই ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা৷ যদিও এর মানে এই নয় যে, গত ২০ হাজার বছর ধরে এই তিনটি দেশের মানুষের শরীরেই তা সীমাবদ্ধ রয়েছে৷
আগামী দিনে এই ভাইরাসের বিবর্তিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অতিমারি ভবিষ্যতে কী রূপ ধারণ করতে পারে, সে প্রসঙ্গে জানাতে পারবেন গবেষকরা৷ এছাড়াও কোভিড ১৯, সার্স ও মার্স নামে তিন ধরনের করোনা ভাইরাস গত ২০ হাজার বছর ধরে সংক্রমিত করতে তৈরি হয়েছে। এই গবেষণার রিপোর্ট বলছে বাদুড় বা অন্য কোনও প্রাণী থেকে মানুষের দেহে এই তিন রকমের করোনা ভাইরাস এসেছে। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডেলাইড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক তথা এই গবেষণার একজন লেখক ইয়াসিন সোলিমি বলেন, ৪২ টি জিন প্রাচীন কালের করোনা অতিমারি থেকে বিবর্তিত হয়ে এসেছে৷ সেগুলিকে নিয়ে বিজ্ঞানীরা আরও পরীক্ষা করলে কোভিড ১৯-এর ইমিউন রেসপন্স বুঝতে পারলে, তা ওষুধ প্রস্তুতে সাহায্য করবে।