বেজিং:গোটা বিশ্বকে থমকে দেওয়া করোনাভাইরাস প্রথম দেখা গিয়েছিল চিনের উহান প্রদেশে। সেখান থেকেই আজ তা দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে অতিমারির রূপ নিয়েছে। এখনও আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি কোনও প্রতিষধক। যদিও চেষ্টা চলছে সর্বত্রই। প্রতিষেধক কিংবা ওষুধ আবিষ্কারে নিয়োজিত দুনিয়ার সেরা সেরা চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। বলা বাহুল্য, এই দুর্গতির জন্য সিংহভাগ মানুষ কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে চিনকে। আন্তর্জাতিক স্তরেও চেষ্টা চলছে তাদের একঘরে করার। এমতাবস্থায়, চিনের দাবি তারা এবং একটি ওষুধ (ড্রাগ) আবিষ্কার করতে সম্ভব হয়েছে যা প্রতিষেধক ছাড়াই এই অতিমারিকে রুখে দেবে।
চিনের নামকরা পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে গবেষণা, সেখানেই চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এমন এক ড্রাগ আবিষ্কার করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে চিনের পক্ষ থেকে। এই ওষুধ প্রতিষেধক ছাড়াই সংক্রামিত রোগীদের সুস্থ হওয়ার গতি বাড়িয়ে দেবে বলে জানানো হয়েছে। এমনকী, সীমিত সময়ের জন্য তা মানবদেহে ‘ইমিউনিটি’ অর্থাৎ প্রতিরোধ ক্ষমতা এনে দেবে বলেও তাঁদের দাবি। বেজিংয়ের অ্যাডভান্সড ইনোভেশন সেন্টার ফর জিনোমিক্স-এর প্রধান সানি জি এফপি-কে জানিয়েছেন, পশুদের দেহে এই ওষুধ ব্যবহার করে সাফল্য পেয়েছেন তাঁরা। তাঁর কথায়, ‘আমরা ইঁদুরের শরীরে এই ওষুধ দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে তার জীবাণু ২৫০০ গুণ কমে গেছে। অর্থাৎ এই ড্রাগটির ভেষজ প্রভাব রয়েছে।’
কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়েছেন এমন ৬০ জন ব্যক্তির শরীর থেকে রোগ প্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে এই ড্রাগ তৈরি হয়েছে বলে জানান সানি জি। তাঁর দলের জার্নালটি একটি বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ইতিমধ্যেই যেখানে দাবি করা হয়েছে, অ্যান্টিবডিগুলো ব্যবহার করে সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুতগামী করা গেছে এবং এটি হয়তো রোগটিকে নির্মূল করতেও সক্ষম হবে। চিনের এই গবেষক দলটি জানিয়েছে এ বছরের শেষের দিকে ওষুধটি বাজারে আনা সম্ভব হবে। এদিকে ইতিমধ্যেই করোনার প্রকোপে বিশ্বজুড়ে সংক্রামির প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ এবং মৃত্যু হয়ে তিন লক্ষেরও বেশি।