বেজিং: বহু ব্যবহারে কমে যাচ্ছে প্রাকৃতিক শক্তি। এমন একটা দিন আসবে যখন গাড়ি চলার জন্য জ্বালানি তেলটুকুও আর অবশিষ্ট থাকবে না। সে কারণেই এখন থেকে বৈদ্যুতিক শক্তির মাধ্যমে গাড়ি চালানোর পরিবর্তিত বিকল্প নেওয়া হয়েছ। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সংস্থার গাড়ি তেলে নয়, চলে বিদ্যুতে। এতে যেমন একদিকে জ্বালানি তেল বাঁচে সেই সঙ্গে বায়ুদূষণও রোধ করা যায়। সমস্যা হল বৈদ্যুতিক শক্তির গাড়ি একটানা লম্বা দূরত্বের পথ পাড়ি দিতে পারে না। কারণ ব্যাটারির শক্তি ক্ষয়ে যায়। এমতাবস্থায় চিনের কনটেম্পোরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজিস কো লিমিটেড (সিএটিএল) এমন এক ব্যাটারি বানাতে সক্ষম হয়েছে যা চলবে ২০ লক্ষ কিলোমিটার বা ১৬ বছর।
এই ব্যাটারি আবিষ্কারের ফলে করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ধুঁকতে থাকা বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার আবার উঠে দাঁড়াতে পারবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কারণ এই ব্যাটারি বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম কমিয়ে দেবে অনেকটাই। সিএটিএল-এর চেয়ারম্যান জেং ইয়ুকুন বলছেন, তাঁদের সংস্থা কেউ অর্ডার করলেই এই ব্যাটারি বানিয়ে দিতে পারবে এবং এতে আগের ব্যাটারিগুলো বানাতে যে খরচ পড়ত তা বাড়বে মাত্র ১০ শতাংশ। প্রসঙ্গত এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই টেসলা সংস্থার সঙ্গে দু’বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সিএটিএল। চুক্তি রয়েছে ফোকসওয়াগেন সংস্থার সঙ্গেও। জেন ইউকুনের মতে, এ বছর করোনা অতিমারির জেরে গাড়ি বিক্রিতে ভাটা পড়লেও, ২০২১ থেকে ফের বাজারের অবস্থা ফিরবে।
এ যাবত বিক্রি হওয়া বৈদুত্যিক গাড়িগুলিতে দু’তিন বছর পরেই ব্যাটারি বদলানোর দরকার পড়ে। এই বিষয়টিই তেলের গাড়ি ছেড়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের কাছে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সিএটিএল-এর নতুন ব্যাটারি যে সেই সমস্যা মিটিয়ে দেবে তা বলাই বাহুল্য। আমেরিকার সবচেয়ে বড় বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা টেসলার সঙ্গে চুক্তি হওয়ায় দারুণ খুশি জেং। এর আগে টেসলার গাড়ির জন্য ব্যাটারি বানাত জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা।