লাসা: শুক্রবার তিব্বতে প্রথম বুলেট ট্রেন চালু করল চিন৷ ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের গা ঘেঁষে তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে নিংচির মধ্যে চলল প্রথম বৈদ্যুতিন বুলেট ট্রেনটি৷
চিনের রাজ্য রেল দফতর জানিয়েছে, ২০১৪ সালে লাসা-নিংচি ৪৩৫.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়৷ এই রেল পথটি এমন ভাবেই ডিজাইন করা হয়, যাতে ট্রেনগুলি ঘণ্টায় ১৬০ কিমি বেগে ছুটতে পারে৷ তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে সীমান্ত এলাকা নিংচি যেতে এবার মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগবে৷ জানা গিয়েছে, সিচুয়ানের রাজধানী চেঙ্গদু থেকে এই ট্রেনের যাত্রাপথ শুরু হবে। শেষ হবে লাসায়। তবে বুলেট ট্রেনের কারণে ৪৮ ঘণ্টার যাত্রাপথ কমে দাঁড়াবে মাত্র ১৩ ঘণ্টায়। আগামী ১ জুলাই চিনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ পূর্ণ হচ্ছে। তার আগেই সেদেশে চালু হয়ে গেল সিচুয়ান-তিব্বত রেলপথ৷ শুক্রবার সকালেই এই রেলপথে প্রথম বুলেট ট্রেনটি চলে৷ প্রসঙ্গত, সিচুয়ান-তিব্বত রেলওয়ে এই অঞ্চলের দ্বিতীয় রেলপথ, যা গত বছর নভেম্বরেই উদ্বোধন করেছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তারপরই দ্রুতগতিতে কাজ শুরু করে তা চালুও হয়ে গেল৷ এর আগে এই এলাকায় কুইনঘাই-তিব্বত রেলপথ চালু হয়।
ভারতকে চাপে রাখতেই এই রেলপথ চালু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ কারণ অরুণাচল সীমান্ত থেকে নিংচির দূরত্ব মাত্র ৫০ কিলোমিটার। তার মানে ভারতের সীমান্ত ঘেঁষেই এই রেলপথ তৈরি করা হয়েছে৷ যদিও চিনের তরফে দাবি করা হয়েছে, যাত্রীবাহী পরিষেবার উন্নয়নের জন্যই এই রেলপথ তৈরি করা হয়েছে৷ তবে চিন যাই বলুক, এই বিষয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মাথায় চিন্তার রেখা ফুটে উঠেছে। মনে করা হচ্ছে, লাসা-নিংচি বুলেট ট্রেন চললে, যে কোনও মুহূর্তে চিনা সরকারের নির্দেশে অরুণাচল সীমান্তে সেনা পাঠাতে পারবে লালফৌজ। ফলে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনার প্রতিরক্ষার বিষয়টি পালটে যেতে পারে৷ কারণ বুলেট ট্রেনে তিব্বত থেকে বিশাল সেনা পাঠিয়ে দিতে পারে চিনা প্রশাসন৷