নিউইয়র্ক: রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে করাচিতে পাক স্টক এক্সচেঞ্জে হামলার ঘটনাকে নিন্দার খসড়া প্রস্তাব সমর্থনে আমেরিকা দেরী করায় এবার বেশ খানিকটা এগিয়ে খেলল চিন। বিবৃতিকে সমর্থনের বিষয়ে বিলম্ব করার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আমেরিকা। এর আগে ভারতের প্রতি সৌভ্রাতৃত্ব দেখিয়ে জার্মানি বিবৃতি দিতে দেরি করে। ঘটনায় ভারতকে দায়ী করে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি এবং পরে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এই অবস্থান নেয় ওই দুই দেশ। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে এবং সৌভ্রাতৃত্ব দেখিয়ে চিন এই প্রেস বিবৃতির খসড়া বানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা এই চূড়ান্ত সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের ইন্ধনপ্রদানকারী, উদ্যোক্তা, অর্থসহায়কদের বিচার চায়। তারা সমস্ত দেশকে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি দায়বদ্ধতার বিষয়টি মাথায় রাখতে এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে নেওয়া প্রতিজ্ঞার কথা ভাবতে আবেদন করছে। এবিষয়ে পাকিস্তান সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কথাও বলা হয় আবেদনে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিয়ম অনুসারে চিনের এই খসড়া প্রস্তাব পেশের পর নিউইয়র্কের বিকেল চারটে পর্যন্ত চুপচাপ থাকা।
প্রস্তাব রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রায় প্রত্যহই প্রকাশিত সন্ত্রাসবাদের সমালোচনা প্রস্তাবেরই মত ছিল। এই চুপচাপ থাকার নিয়ম অনুসারে ডেডলাইন পর্যন্ত কোনও বিরোধিতা না এলে সেই প্রস্তাব পাসের পথেই যায়। কিন্তু ঠিক চারটের সময় জার্মানি প্রস্তাবটির বিলম্বে প্রকাশ দাবী করে। কূটনীতিকরা জানান পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশির হামলার ঘটনায় ভারতকে দায়ী করার বিষয়টি মোটেই মানা যায় না।
রাষ্ট্রসঙ্ঘে চিনের প্রতিনিধিরা বিষয়টিতে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, জার্মানি যখন বিষয়টিতে প্রবেশ করে তখন ঘড়ির কাঁটা চারটে পেরিয়ে গেছে। এরপর বিরোধিতা করার সময়সীমা বাড়ানো হয়। সময় বাড়াতেই আমেরিকাও এবার বিষয়টিতে ঢোকে। তারাও ফের আরেকটি বিলম্ব প্রস্তাব আনে। তবে কূটনীতিকরা জানাচ্ছেন শেষ পর্যন্ত বিষয়টি হয়ত পাস হয়ে যাবে। তবে তারা এও মনে করেন পাকিস্তান ও চিনের প্রস্তাবকে এভাবে রুখে দেওয়া গোটা বিশ্বজুড়ে তাদের বিরুদ্ধে অসন্তোষের ইঙ্গিত বহন করে।