বেজিং: তাঁর মৃত্যুর পর চিন নিজেদের মতো পঞ্চদশ দলাইলামা নির্বাচন করবে, তবে তা কিন্তু প্রকৃত দলাইলামার মৃত্যুর পর তাঁরই আত্মা নিয়ে জন্মানো পরবর্তী উত্তরসূরি নয়। আমার পরবর্তী উত্তরসূরি ভারতেরই কোথাও জন্মাবে, সেই হবে প্রকৃত পঞ্চদশ দলাইলামা। চিনের নির্দেশিত কেউ নয়।
বছর তিরাশির দলাইলামা ১৯৫৯ সালে জন্মভূমি তিব্বতের লাসা শহর থেকে পালিয়ে আসেন। লালফৌজের আগ্রাসন থেকে বাঁচতে তাঁকে সেনার ছদ্মবেশে ভারতে চলে আসতে হয়। তখন থেকেই উত্তর ভারতের ধর্মশালা শহরে প্রায় লাখখানেক তিব্বতীকে নিয়ে বসবাস করছেন তিনি। নিশ্চিন্তের এই আশ্রয় ছেড়ে কোনওভাবেই বেরোতে চান না তিনি। তবে এই প্রবীণতম বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরও জীবনাবসান হবে, সেদিন কী করবে তীব্বতীরা। যারা ভারতে থাকে তাদের কথা না বাদই দেওয়া গেল, আর যারা বেজিংয়ের চোখ রাঙানির মাঝে কোনওক্রমে দিন যাপন করে চলেছে। এদের মধ্যে অনেকেই আবার চিনের আগ্রাসী নীতিকে অগ্রাহ্য করেই দলাইলামার ছবি বাড়িতে রাখেন, ভক্তিশ্রদ্ধা জানান।
তবে যাই করুননা কেন, দলাইলামা কিন্তু কমিউনিস্ট চিনকে ব্রাত্যই রেখেছেন। বেজিংয়ের সঙ্গে তিনি এতদিনে কোনও আলোচনায় যাননি, ভবিষ্যতেও যেতে চান না। তাঁর মতে কমিউনিস্ট চিন কোনও গঠনগত ভাবনাকে আশ্রয় দেয় না। তারা বৌদ্ধ ধর্মকেও নিজেদের মর্জিতে চালাতে চায়। তা হতে পারে না, তাইতো পঞ্চদশ দলাইলামা নির্বাচন করে চিনে বসবাসকারী বৌদ্ধদের মুঠোতে রাখতে চাইছে। এমন ইচ্ছা সফল হবে না, আমাদের শক্তি সত্যের উপরে প্রতিষ্ঠিত আর চিনাদের শক্তি বন্দুকের গুলিতে। ক্ষণিকের সাফল্য হয়তো বন্দুক আনতে পারে কিন্তূ দীর্ঘসূত্রী সাফল্যের মূলে সেই সত্যই।তাই চিনের তৈরি নকল পঞ্চদশ দলাইলামার প্রতি কেউই শ্রদ্ধা জানাবে না।