কাঠমাণ্ডু: করোনা ভাইরাসের যে মারণ সংক্রমণ গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিপর্যস্ত করেছে গোটা পৃথিবীকে, তার উৎসস্থল চিন। পৃথিবীর তাবড় বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের চেষ্টায় অবশেষে আবিষ্কৃত হয়েছে এই ভাইরাসের প্রতিষেধক। অতিমারী ক্লিষ্ট পৃথিবী এখন তাই ক্রমশ স্বাভাবিকের পথে। কিন্তু এহেন আবহেই এবার করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে ফের বিতর্কে জড়ালো বেজিং।
আরও পড়ুন- ১০০ কিমি পথ ধাওয়া করে লালকেল্লা হামলায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ সুখবীর সিংকে ধরল পুলিশ
অতিমারী মোকাবিলায় চিনা ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য নেপালের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল বেজিং, এদিন এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে গোপন সূত্রের খবরে। কিছু গোপন তথ্যাবলী ফাঁস হয়ে যাওয়ার ফলেই সামনে এসেছে এই সংবাদ। জানা যাচ্ছে, চিনের সিনোফার্মে তৈরি সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের বিপুল চাহিদার অজুহাতে নেপাল সরকারকে ভয় দেখানো হয়েছে চিনের তরফে। বলা হয়েছে, জরুরি ভিত্তিকে নেপাল যদি তাঁদের ভ্যাকসিন না কেনে, তবে বিপুল চাহিদা সম্পন্ন এই ভ্যাকসিন এরপর শিগগির আর পাওয়া যাবে না। এরপর পেতে গেলে অপেক্ষা করতে হবে দীর্ঘ সময়।
নেপালের বিদেশ মন্ত্রক এবং চিনা দূতাবাসের এই কথোপকথন সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে নেপালের সংবাদমাধ্যমে। নেপাল সংবাদমাধ্যমের সেই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, চিনা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা, উপযোগিতা, সুরক্ষা সম্বন্ধে কোনোরকম তথ্যাবলী ও প্রমাণ ছাড়াই নেপালকে ওই ভ্যাকসিন নিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
নেপালের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর অনুযায়ী, চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়্যাং ই নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গ্যাওয়ালির সঙ্গে একটি টেলিফোন কলের মাধ্যমে কথা বলেন। সেখানে তিনি বলেন, নেপালকে প্রথমে চিনের তৈরি ভ্যাকসিন নিতে সম্মত হতে হবে, তারপরেই সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তাঁদের পাঠানো হবে। এহেন খবর সামনে আসায় স্বভাবতই নেপালি জনতার মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ এবং চাঞ্চল্য।
আরও পড়ুন- “সংবিধানকে সঙ্গে নিয়েই হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে লড়বো”, হুঁশিয়ারি ওয়াইসির
নেপালের সঙ্গে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের এই কথোপকথন সংক্রান্ত একটি চিঠিও প্রকাশিত হয়েছে নেপালি সংবাদমাধ্যমে। যদিও সে চিঠির সত্যতা এখনও নিশ্চিত করেনি বেজিং, কিন্তু কাঠমান্ডুর তরফ থেকে তা সত্যি বলেই দাবি করা হয়েছে।