ওয়াশিটংন: করোনা ভাইরাস নিয়ে উথাল পাথাল বিশ্ব৷ মানুষের নজর শুধু করোনা আক্রান্ত বিশ্বের পরিস্থিতির ওপর৷ এই সময় কানাডার সফটওয়্যার ব্ল্যাকবেরি সংস্থা চিনা হ্যাকারদের বিরুদ্ধে তথ্য চুরির অভিযোগ নিয়ে এসেছে৷ এই অভিযোগে ঘুম উড়েছে প্রথম বিশ্বের দেশগুলোর৷ ব্ল্যাকবেরি অভিযোগ করেছে, চিনা সরকারের হয়েই সেদেশের হ্যাকাররা গুপ্তচরবৃত্তি করে চলেছে৷
সম্প্রতি ব্ল্যাকবেরি ৪০ পাতার একটি তথ্য প্রকাশ করেছে৷ সেই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিজ্ঞাপনের ছদ্মবেশেই চিনা হ্যাকাররা প্রথমে কম্পিউটারে প্রবেশ করে৷ তারপর সেখান থেকে সমস্ত তথ্য হাতিয়ে নেয়৷ চিনা প্রযুক্তি এতটাই উন্নত যে হ্যাকারদের সহজে চেনা যায় না৷ তবে চিনা হ্যাকার করোনার সুযোগে এই কাজ করছে না৷ ২০১২ সাল থেকে তারা হ্যাকিং করছে বলে ব্ল্যাকবেরির তরফে জানানো হয়েছে৷ বলা হয়েছে, তারা কোনও সাধারণ উইন্ডোজের ওপর হামলা করে না৷ তারা বড় বড় সংস্থার সার্ভারকে নিশানা করে হামলা করে৷ ব্ল্যাকবেরি জানিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার ও সুপার কম্পিউটার যেথানে লিনাক্স ওপারেটিংয়ে কাজ হয়, সেখানেই হামলা করেছে চিনা হ্যাকাররা৷
যদিও গবেষকরা দাবি করেছেন, সাধারণ উইন্ডোজের থেকে লিনাক্স অনেক বেশি নিরাপদ৷ তাই সেখানে অতি সহজেই তথ্য গোপন করে রাখা যায়৷ কিন্তু লিনাক্সের ওপেন সোর্স ওপারেটিং সিস্টেমে কী কী নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে তা বাইরে থেকে দেখা যায়৷ তাই সহজেই কেউ এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেদ করতে পারে৷ সেই কারণেই হ্যাকাররা সহজেই কম্পিউটারের গোপন তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে চিনা হ্যাকাররা৷
অনলাইনে তথ্য হাতিয়ে নেওয়া এই ধরনের পাঁচটি অ্যাডভান্সড পারসিসটেন্ট থ্রেট (এপিটি) সংগঠনের হদিশ পেয়েছে ব্ল্যাকবেরি। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমেও ম্যালওয়্যার ছড়িয়েছে তারা। বলা হয়েছে, শুরুতে বিভিন্ন ভিডিয়ো গেম সংস্থার থেকে চুরি করা সার্টিফিকেট নিয়ে ম্যালওয়্যার ছড়ানো হতো, র্বতমানে অ্যাডওয়্যার ভেন্ডরদের সার্টিফিকেট চুরি করে ম্যালওয়্যার ছড়ানো হচ্ছে। ম্যালওয়্যার ছড়ানো হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলিতেও।
ব্ল্যাকবেরি তাদের রিপোর্টে জানিয়েছেন, পাঁচটি সংস্থার সঙ্গে চিনের যোগ রয়েছে৷ তবে চিনা সরকার সরাসরি তাদের কর্মীদের দিয়ে এই কাজ করায়নি৷ কনট্রাক্ট ভিত্তিতে চিন হ্যাকারদের দিয়ে এই কাজ করিয়েছে বলে ব্ল্যাকবেরি মনে করছে৷ তবে এই বিষয়ে চিন স্বীকার করবে বলে মনে করা হচ্ছে৷