কলম্বো: ভারতের চাপ বাড়িয়ে শ্রীলঙ্কা উপকূলে ভিড়তে চলেছে চিনের জাহাজ! চলতি মাসের ১১ থেকে ১৭ তারিখের মধ্যেই শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ প্রান্তের হামবানতোতা বন্দরে এসে হাজির হবে চিনা জাহাজ। খাতায়-কলমে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতেই এই জাহাজ পাঠাচ্ছে বেজিং। তবে চিনের সঙ্গে সীমান্ত সঙ্ঘাতের আবগে গোটা পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে সাউথ ব্লক৷ তেমনটাই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন- BIG NEWS: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মাঝেই জাপানে চিনা মিসাইল! ৫ টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ
এই প্রসঙ্গে শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মুখপাত্র নালিন হেরাথের বক্তব্য, ভারতের উদ্বেগ নিয়ে শ্রীলঙ্কা অবহিত৷ কিন্তু এটি একটি ‘রুটিন মহড়া’৷ হেরাথ আরও জানিয়েছেন, শুধু চিন নয়, ভারত, চিন, রাশিয়া, জাপান প্রভৃতি দেশের জাহাজও তাদের জলসীমায় ঢোকার অনুমতি চাইলে, অনতিবিলম্বে দিয়ে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র পরমাণু অস্ত্র বহনকারী জাহাজকে আটকানো হয়৷
চিনের জাহাজ ইউয়ান ওয়াং ৫-কে কিছু দিনের জন্য হামবানতোতা বন্দরকে পোতাশ্রয় হিসাবে ব্যবহার করতে দেওয়ার জন্য শ্রীলঙ্কার কাছে অনুমতি চেয়েছিল বেজিং৷ সেই অনুরোধ গ্রহণ করা হয়৷ শ্রীলঙ্কার তরফে জানানো হয়েছে, চিনা জাহাজটি পরিকাঠামোগত দিক থেকে অত্যন্ত উন্নত৷ সেই সঙ্গে আশ্বাস দিয়ে জানানো হয়েছে, স্রেফ পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যেই চিনের এই জাহাজ কাজ করবে।
তবে শ্রীলঙ্কার আশ্বাসে সম্পূর্ণ আশ্বস্ত হতে পারছে না ভারত। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার অনুমতি ছাড়াই দু’টি চিনা সাবমেরিন হামবানতোতা বন্দরে ভিড়েছিল। ভারতের কাছে যে বিষয়টি উদ্বেগের, সেটি হল চিনকে সঙ্গে রাখার বাধ্যবাধকতা৷ কারণ শ্রীলঙ্কার সরকার হামবানতোতা বন্দরটিকে ৯৯ বছরের জন্য চিনের এক কোম্পানির হাতে তুলে দিয়েছে। অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে এই দ্বীপরাষ্ট্র৷ শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে ঋণ বাবদ বহু অর্থ বকেয়া রয়েছে চিনের। এই দিকগুলি বিবেচনা করেই ভারত জানিয়েছে, ‘দেশের নিরাপত্তা রক্ষা করতে সক্ষম ভারতও।’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>