ভারতে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রফতানিতেও চিনা প্রতারণা! জীবন নিয়ে ছিনিমিনি

ভারতে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রফতানিতেও চিনা প্রতারণা! জীবন নিয়ে ছিনিমিনি

 
বেজিং: ইচ্ছে করে করোনার জীবাণু ছড়ানোর অভিযোগ আগেই উঠছিল চিনের বিরুদ্ধে৷ এবার অক্সিজেনের মূল্যবৃদ্ধি এবং নিকৃষ্ট মানের অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রফতানির অভিযোগ উঠল৷

করোনার দ্বিতীয় ইনিংসের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বেসামাল ভারত। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর চিন থেকে আমদানি করা হচ্ছে। আর সেখানেও মুনাফা বাড়াতে চিনা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে রাতারাতি দাম বাড়ানোর অভিযোগ উঠল। কেবল দাম বাড়ানোই নয়, তুলনামূলক ভাবে নিকৃষ্ট মানের অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ভারতে পাঠানোর অভিযোগ উঠল৷ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। ওই সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, অভিযোগের সপক্ষে তাদের তরফে বড় প্রমাণ হল চিনা সংস্থাগুলির বিভিন্ন তথ্য ও ছবি। মূলত ৫ ও ১০ লিটারের জারে ওই কনসেনট্রেটর ভারতে আসছে। দেখা যাচ্ছে, কীভাবে অন্য জ্যাকেট পরিয়ে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে আগের কনসেনট্রেটরের সঙ্গে উপাদানগত ও সেগুলির পরিমাণগত ফারাকও স্পষ্ট। এটা থেকেই স্পষ্ট, মানুষের জীবনের কোনও মূল্য নেই, শুধু মুনাফা বাড়াতে এই ধরনের পদক্ষেপ করছে চিনা সংস্থাগুলি।

চিনের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, করোনার মতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে ভারতের পাশে দাঁড়াতে চিনা সংস্থাগুলি মানবিকতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। চিনা সংস্থাগুলির এই পদক্ষেপের জন্য টুইট করে প্রশংসা করেছেন ভারতে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডং৷ যদিও বাস্তব ছবিটা অন্য কথা বলছে৷ দেখা গিয়েছে, ৩০ এপ্রিল  অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের দাম ছিল ৩৪০ ডলার, অথচ ১২ মে তার দাম হয়েছে ৪৬০ ডলার৷ আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিশয় হল, প্রথম থেকেই বলা হয়েছিল এই পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে এগুলি পাঠানো হচ্ছে৷ যদিও বাস্তবে দেখা গিয়েছে শুরু থেকে কোনও রকম ছাড়ই দেওয়া হয়নি। এর প্রতিবাদ জানিয়ে এক ভারতীয় কূটনীতিক প্রিয়াঙ্কা চৌহানের বলেছেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা এই পণ্যগুলির দাম স্থিতিশীল করা হোক। চাহিদা আর জোগানের চাপ থাকলেও, দামের বিষয়টি স্থিতিশীল রাখতেই হবে। আমি জানি না এই সব সংস্থাগুলির ওপর চিনা সরকারের কতটা প্রভাব রয়েছে। তবে যদি তারা এই বিষয়টির দিকে নজর দেন, তাহলে উপকৃত হই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *