ওয়াশিংটন: এবার একাধিক দেশে নিজেদের সামরিক শক্তি আরও বাড়িয়ে তোলার কৌশল নিল চিন৷ ভারতের তিন প্রতিবেশী সহ ১২টি দেশে সামরিক রসদ ও পরিকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ নিল বেজিং৷ সম্প্রতি একটি রিপোর্টে এমনটাই দাবি করেছে পেন্টাগন৷
আরও পড়ুন- ভার্চুয়াল দুনিয়ায় পরিজনদের দেখে খুশি পেঙ্গুইন পিয়ের
ট্রাম্প প্রশাসনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের তিন প্রতিবেশী পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং মায়ানমার ছাড়াও থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, কেনিয়া, সেশেল, তানজানিয়া, আঙ্গোলা এবং তাজিকিস্তানে সামরিক রসদ ভাণ্ডার গড়ে তুলতে চাইছে চিন৷ মার্কিন কংগ্রেসে পেশ করা বার্ষিক রিপোর্ট ‘মিলিটারি অ্যান্ড সিকিউরিটি ডেভলপমেন্টস ইনভলভিং দা পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না (পিআরসি) ২০২০’-তে পেন্টাগন জানিয়েছে, এই সম্ভাব্য চিনা মিলিটারি লজিস্টিক জিবুতির সেনা ঘাঁটি ছাড়াও, নৌ, বিমান এবং স্থলবাহিনীকে মদত করার লক্ষ্যে গড়ে তোলা হবে৷ পেন্টাগনের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, পিআরসি’র বিশ্বব্যাপী সামরিক উদ্যোগগুলি বিকশিত হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী পিএলএ (পিপলস লিবারশন আর্মি) মিলিটারি লজিস্টিক নেটওয়ার্ক মার্কিন অভিযানে বাধা দিতে পারে৷ এমনকী আমেরিকার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অভিযানেও মদত যোগাতে পারে৷
আরও পড়ুন- মাথা নোয়াবে না শার্লি, বিতর্কিত কার্টুন ফের ম্যাগাজিনের পাতায়
আরও একটি উদ্বেগজনক দাবি করেছে পেন্টাগন৷ মঙ্গলবার চিনের সামরিক শক্তি ও অস্ত্রভাণ্ডার সংক্রান্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে লালফৌজের হাতে দু’শোরও বেশি পারমাণবিক হাতিয়ার রয়েছে। কিন্তু এখানেই থেমে থাকতে নারাজ চিন৷ আগামী এক দশকের মধ্যে চিন তার পরমাণু অস্ত্র দ্বিগুণ করতে চাইছে। নিজেদের পরমাণু অস্ত্র আধুনিকীকরণ করার পাশাপাশি সংখ্যাও বাড়াচ্ছে। সেক্ষেত্রে আগামী এক দশকের মধ্যে চিনের পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা অন্তত দ্বিগুণ হবে। পাশাপাশি তাইওয়ানের পক্ষে দাঁড়ালে কীভাবে মার্কিন বাহিনীকে রুখতে হবে সেই বিষয়ে রণকৌশল ঠিক করছে ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ ।
পেন্টাগনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিন ইতিমধ্যেই জাহাজ নির্মাণ, ভূমি-ভিত্তিক কনভেনশনাল ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও সমন্বিত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সহ সামরিক সরঞ্জামাদি আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে আমেরিকার সমকক্ষ হয়েছে৷ কোনও কোনও ক্ষেত্রে আমেরিকাকে ছাপিয়েও গিয়েছে৷