তালিবানের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্কে রাজি চিন! ভারতে কতটা প্রভাব

তালিবানের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্কে রাজি চিন! ভারতে কতটা প্রভাব

কাবুল: আফগানিস্তান দখল করেছে তালিবানরা। দেশের নতুন নাম এবং নতুন পতাকা হওয়া সময়ের অপেক্ষা। তার আগে কাতারে কাতারে মানুষ দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছে। মর্মান্তিক বেশ কিছু দৃশ্য ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে আফগানিস্তান থেকে। তবে সেই সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে যে আফগানিস্তান তালিবান দখল করার জন্য ভারতে কেমন প্রভাব পড়তে পারে। আলোচনা হওয়ারই কথা কারণ ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে যে, চিন আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্কে রাজি। অবশ্য ভাবে চিনের এই সিদ্ধান্তে প্রভাব পড়বে ভারতে।

চিনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে,  আফগানিস্তানের তালিবানদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে রাজি তারা। আফগান মানুষদের অধিকার কে সম্মান করে চিন এবং তাদের উন্নতির স্বার্থে কাজ করতে চায় তারা এবং সেই কারণেই তালিবানদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে রাজি বেজিং সরকার। এমনই বক্তব্য চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের। সম্প্রতি চিনা বিদেশ মন্ত্রী এবং তালিবান প্রধানের সাক্ষাতের ছবি সামনে আসে। তারপর থেকেই কার্যত একটা ব্যাপার পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে আফগানিস্তানে তালিবানদের সমর্থন করবে বেজিং। আদতে হল তাই। একই সঙ্গে একটা ব্যাপারে স্পষ্ট হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে যেহেতু মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তাই সেখানে নিজেদের অস্তিত্ব আরো বাড়াতে চাইছে চিন এবং সেই কারণে তারা তালিবানকে মদত দিচ্ছে। এর ফলে সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে ভারতের ওপর। 

আরও পড়ুন- অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যস্ত, এক মাস পিছিয়ে গেল নারদ মামলার শুনানি

পাকিস্তানের কাছে এই প্রদেশ একেবারে হাতের মুঠোয় চলে এসেছে এবং তার পাশাপাশি রয়েছে চিনের সমর্থন। সব মিলিয়ে ভারতের চাপ যে বাড়ল তা বলার বাকি থাকে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতদিন ধরে আফগানিস্তানের সম্পদ তৈরির পেছনে আমেরিকার বড় হাত ছিল এবং এখন তা পুরোপুরি তালিবানের দখলে চলে যায় সেগুলি তারা ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। এর সঙ্গে রয়েছে পাকিস্তান এবং চিনের সমর্থন যা অবশ্যই ভারতের পক্ষে উদ্বেগজনক। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *