ওয়াশিংটন: বিশ্ব বাজারে চিনের প্রধান ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ভারত৷ এমনটাই মনে করে বেজিং৷ যার জেরে আমেরিকা, তার মিত্র দেশ এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশগুলির মধ্যেই নিজেদের কৌশলগত অংশীদারিত্ব সীমাবদ্ধ রাখতে চায় শি জিংপিং-এর দেশ৷ এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের রিপোর্টে৷ ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, আমেরিকাকে সরিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হিসাবে উঠে আসতে চায় চিন৷
আরও পড়ুন- কোভিড পরিস্থিতিতে বদলে গিয়েছে বাতাসের মান, বলছে নাসা
গত ৩ নভেম্বরের ভোটে ট্রাম্প সরকারের পতন আর প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বিডেনের নির্বাচনের আগে এই পলিসি ডকুমেন্টে বলা হয়েছিল, একাধিক দেশের সুরক্ষা, স্বায়ত্তশাসন এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ বিঘ্নিত করছে চিন৷ এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, উদীয়মান অর্থনীতি ভারতকে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করে চিন৷ নয়াদিল্লির স্ট্রাটেজিক পার্টনার আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের অন্যান্য মিত্র দেশগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক দিক থেকে যুক্ত হয়ে উচ্চাকাঙ্খা পূরণ করতে আগ্রহী বেজিংয়৷ রিপোর্টে অনুসারে, চিন এই অঞ্চলের আরও অনেক দেশের স্বার্থ ক্ষুন্ন করছে৷ অ্যাসোসিয়েসন অফ সাউথ ইস্ট নেশনস (ASEAN) এর পাশাপাশি মেকং অঞ্চলের সদস্যদের স্বার্থ বিঘ্নিত করছে চিন৷
৭০ পাতার ওই রিপোর্ট আরও বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলি এটা বুঝতে পেরেছে যে, ক্ষমতাসীন চিনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) গ্রেট-পাওয়ার অর্জনের প্রতিযোগিতার এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিটি অঞ্চলে চিনা অনুপ্রবেশের বিষয়টি অনেকেই বুঝে উঠতে পারে না৷ কিন্তু সর্বত্র আধিপত্য বিস্তারের আকাঙ্খা নিয়ে এগিয়ে চলেছে চিন৷ চিনা চ্যালেঞ্জের মুখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই স্বাধীনতা রক্ষা করবে বলেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- ‘কোরনা ভাইরাস আল্লার সৈনিক’, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ররোচনা আল-কায়েদা ও ISIS এর
জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড এবং ফিলিপাইন ছাড়াও ভারত, ভিয়োতনাম, ইন্দোলেশিয়া এবং তাইওয়ানের সঙ্গে বুন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে আমেরিকার৷ এই অঞ্চলগুলির উপর নজর রয়েছে চিনেরও৷