ওয়াশিংটন: ক্রমেই নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে চিন৷ চিনের সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে পেন্টাগনের রিপোর্ট৷ সম্প্রতি চিনের সামরিক শক্তি সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করে পেন্টাগন৷ মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে বড় নৌবাহিনী রয়েছে চিনের হাতে৷ অন্যদিকে, নিজেদের পরমাণু শক্তি ভাণ্ডার দ্বিগুন করার পথে হাঁটছে শি জিংপিং সরকার৷
আরও পড়ুন- বহু দেশে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির কৌশল চিনের, দ্বিগুণ হচ্ছে পরমাণু অস্ত্র: পেন্টাগন
জানা গিয়েছে, সামরিক শক্তি বাড়াতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং নিউক্লিয়ার সাবমেরিনের সংখ্যা বাড়াচ্ছে চিন৷ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পেন্টাগনের এই রিপোর্ট থেকে আগাম সতর্ক হওয়া উচিত ভারতের৷ এই মুহূর্তে চিনের হাতে ৩৫০টি যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রয়েছে৷ এর মধ্যে ১৩০টি অত্যন্ত শক্তিশালী৷ সংখ্যার দিক থেকে দেখলে, বিশ্বের অন্যতম সামরিক শক্তিধর দেশ আমেরিকাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে চিন৷ কারণ বর্তমানে আমেরিকার হাতে রয়েছে ২৯৩টি যুদ্ধ জাহাজ৷ তবে প্রযুক্তির দিক থেকে চিনের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী৷ আমেরিকার হাতে রয়েছে ১১টি ‘সুপার’ ১ লক্ষ টন যুদ্ধবিমান বহনকারী যুদ্ধ জাহাজ৷
সেই তুলনায় ভারতের হাতে রয়েছে মাত্র একটি যুদ্ধবিমান বহনকারী জাহাজ৷ রয়েছে ১০টি ডেসট্রয়ার, ১৪টি ফ্রিগেটস, ১১টি করভেটস, ১৫টি ডিজেল ইলেকট্রিক এবং দুটি নিউক্লিয়ার পাওয়ার সাবমেরিন৷ নিজেদের শক্তি বাড়াতে ভারত ২৪টি নতুন সাবমেরিন কেনার চিন্তাভাবনা করছে বলে খবর৷ এর মধ্যে রয়েছে ছ’টি নিউক্লিয়ার অ্যাটাক সাবমেরিন৷
আরও পড়ুন- ভার্চুয়াল দুনিয়ায় পরিজনদের দেখে খুশি পেঙ্গুইন পিয়ের
জলপথে যে ভাবে শক্তি বাড়াচ্ছে চিন, তাতে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি৷ শুধু তাই নয়, ভারতের তিন প্রতিবেশী সহ ১২টি দেশে সামরিক রসদ ও পরিকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে বেজিং৷ সম্প্রতি একটি রিপোর্টে এমনটাই দাবি করেছে পেন্টাগন৷
ট্রাম্প প্রশাসনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের তিন প্রতিবেশী পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং মায়ানমার ছাড়াও থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, কেনিয়া, সেশেল, তানজানিয়া, আঙ্গোলা এবং তাজিকিস্তানে সামরিক রসদ ভাণ্ডার ও সেনা ঘাঁটি গড়ে তুলতে চাইছে চিন৷ এই সমস্তদেশে চিনের নৌসেনা থাকলে, স্ট্র্যাটেজিক সুবিধা পাবে তারা৷