নিউ ইয়র্ক: সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমণের জন্য চিনকে কাঠগড়ায় তুলে একাধিকবার আক্রমণ শানিয়েছে আমেরিকা৷ এবার শাস্তি হিসাবে চিনা পণ্যের ওপরে চড়া হারে শুল্ক বসানোর ইঙ্গত দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর পরিস্থিতি সামলাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি চিন৷ নভেম্বরের মাঝামাঝি উহান শহরে প্রথম সংক্রমণ দেখা দেয়৷ এর পর সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে৷ মৃত্যু হয় ২ লক্ষ ৩৫ হাজার মানুষের৷ এর মধ্যে শুধু আমেরিকায় মৃত্যু হয়েছে ৬৪ হাজারের৷ আক্রান্ত ৩৩ লক্ষ৷ এই মহামারির জন্য আমেরিকার পাশাপাশি একযোগে চিনকে দুষেছে জার্মান, ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়া৷
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চিনা পণ্যের ওপরে নতুন করে শুল্ক বসানোর ইঙ্গিত দেওয়ার পরই থেকেই বাজার পরতে শুরু করে৷ এরই মধ্যে শুক্রবার হোয়াইট হাউসের নতুন প্রেস সচিব কালে ম্যাকেনানি চিনের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ আনেন৷ তিনি বলেন, ‘‘চিন করোনাভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স কোনও দেশকে দেয়নি। সাংহাইয়ের এক প্রফেসার নিজ উদ্যোগে ওই বিষয়টি সারা বিশ্বকে জানানোর পর দিনই তাঁর ল্যাবরেটরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।” প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘‘করোনা সংক্রমণ যে মানুষ থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে, সেকথাও প্রথমে জানায়নি চিন৷ এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’-কেও একথা প্রথমে জানায়নি চিন। এর পর ১৪ জানুয়ারি চিনের কথা সমর্থন করেই হু জানায় এই ভাইরাস মানববাহিত নয়৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মার্কিন তদন্তকারীরা চিনে যেতে চাইলেও, তাঁদের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
তবে আমেরিকার গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন. উহানের ভায়রোলজি ল্যাবরেটরি থেকেই ছড়িয়েছিল করোনাভাইরাস। এই অভিযোগের কোনও প্রমাণ কি আমেরিকার হাতে আছে? মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “অবশ্যই আছে।” এই বিষয়ে কি বলছেন গোয়েন্দারা ? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য দিতে চাননি তিনি৷ ট্রাম্প বলেন, “এখন আপনাদের সেকথা জানাতে পারব না।” এর আগে অবশ্য আমেরিকার ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের অফিস জানিয়েছিল, বিজ্ঞানীদের মতে করোনাভাইরাস ম্যানমেড নয়। অন্যদিকে, চিন ল্যাবরেটরিতে ভাইরাস বানানোর কথা অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি উহানের সি ফুডের বাজার থেকে এই রোগ ছড়িয়েছিল।