বেজিং: রাশিয়া প্রথম থেকে দাবি করেছে, তারা প্রথম করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। তবে রাশিয়া তৃতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ভ্যাকসিন করা হয়নি। তার আগেই রাশিয়া বাণিজ্যিকভাবে ভ্যাকসিন তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছে। আমেরিকা ও ব্রিটেনের মতো অনেক দেশ রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। এরমধ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, চিন এক মাস আগে থেকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে শুরু করে দিয়েছে৷ যে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে, তার ট্রায়াল এখনও শেষ হয়নি।
আরও পড়ুন- জর্জ ফ্লয়েড ক্ষত এখনও টাটকা, এর মধ্যেই নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে গুলি মার্কিন পুলিশের
হেলথ কমিশনের সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সেন্টারের প্রধান ঝেং ঝংউই চিনের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, জরুরি ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দেশে চিন এই ভ্যাকসিন পাঠাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যে সব দেশে চিন অধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে, সেই সব দেশে করোনা ভ্যাকসিন পাঠাতে চাইছে।
আরও পড়ুন- জর্জ ফ্লয়েড ক্ষত এখনও টাটকা, এর মধ্যেই নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে গুলি মার্কিন পুলিশের
বিশ্বজুড়ে ১৭০টি জায়গায় করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের গবেষণা চলছে। বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ে হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। ভ্যাকসিনগুলোর অগ্রগতির ওপর নজর রাখছে। চিনের ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল পাকিস্তানে চলছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে পাকিস্তানের ড্রাগ কন্ট্রোল অথরিটি এই ভ্যাক্সিনের হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাকিস্তানে এই প্রথম কোনও ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল চলবে। রাশিয়া, আর্জেন্টিনাতে আগে এই ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল চলেছে। সৌদি আরবেও তৃতীয় পর্যায়ে এই ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল চলার কথা রয়েছে।