আজ বিকেল: মানবাধিকার লঙ্ঘন করা চিনের যে অন্যতম ধর্ম তা বার বার প্রমাণিত হয়েছে। কী করে গোটা বিস্বকে ভয় দেখিয়ে ভুল বুঝিয়ে লাভের গুড় খেতে হয় তা বেজিংকে দেখে শেখা উচিত।চিনকে বন্ধু হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে প্রতিবেশী ভারতকে বার বার বিধ্বস্ত করেছে পাকিস্তান। এবার সেই পাকিস্তানি কিশোরীদেরই বিয়ের নাম করে দাসী বৃত্তি করাচ্ছে বন্ধু দেশ চিন। এই গুরুতর অভিযোগে সরব ইসলামাবাদের রাজনৈতিক মহল।
জানা গিয়েছে, বিয়ের নাম করে পাকিস্তান থেকে রীতিমতো নাবালিকা পাচার হচ্ছে চিনে। সেদেশের দরিদ্র খ্রিস্টান পরিবারগুলির সঙ্গে এসব দুঃখজনক ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি সন্তানসম্ভবা অবস্থায় চিন থেকে পালিয়ে দেশে ফিরেছে কিশোরী মুকাদাস আশরফ। বাবা-মাকে টাকার লোভ দেখিয়ে মুকাদাসকে চিনের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেয় দালালরা। তারপর চিনে পাড়ি দিতেই ভয়াবহ অবস্থার সম্মুখীন হয় ওই কিশোরী।খেতে না দিয়ে দিনের পর দিন অত্যাচার, অন্ধকার ঘরে আটকে রাখা মারধর। কেন সে সন্তান ধারণ করছে না তানিয়ে হাজারো প্রশ্ন। অত্যাচারিত কিশোরী একদিন চার্চে যাওয়ার নাম করতেই মারধরের শেষ রাখেনি গুণধর স্বামী। তারপর পুলিশের সহযোগিতায় কোনওভাবে দেশে ফিরে আসতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের খ্রিস্টান পরিবারের মেয়েরা এভাবেই বিয়ের নামে চিনে পাচার হয়ে যাচ্ছে। চার্চের বাইরে দালালরা বিয়ের পাত্রী খুঁজতে হত্যে দিয়ে পড়ে থাকে। রীতিমতো পাত্রী বাবা-মায়ের হাতে কয়েক হাজার ডলার গুঁজে দিয়ে মেয়েকে নিয়ে উধা হয় তারা। যাওয়ার আগে বলে যায়, ভাল বর ভাল ঘরে বিয়ে হয়েছে, সুখে থাকবে। আসল ছবিটা যে এর সম্পূর্ণ বিপরীত তা জানা যেতেই শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বেজিংকে সাবধান করেছে ইসলামাবাদ।