বেজিং: চিনের আসল রূপ অনেকবারই সারা বিশ্বের সামনে এসে পড়েছে। নতুন কিছু নয়। ভারত লাগোয়া জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের চিনা প্রশাসনের উপর ব্যাপক অত্যাচারের ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু কমিউনিস্ট চিন যে মুসলিমদের উপর কতটা পাশবিক, নির্মম হতে পারে তা সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে।
সোমবার প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, চিনের পশ্চিম জিনজিয়াং অঞ্চলে নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ক্রমাগত জন্ম এবং বংশবৃদ্ধি রোধ করার জন্য চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সরকার মহিলাদের জোরপূর্বক নির্বীজকরণ করছে। জার্মান গবেষক অদ্রিয়ান জেনজ-এর এই গবেষণা ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছে। রিপোর্টে রাষ্ট্রসঙ্ঘকে নিরপেক্ষ তদন্ত করার আবেদন করা হয়েছে।
গবেষণার বলা হয়েছে, উইঘুর মুসলিম এবং অন্যান সংখ্যালঘুদের মহিলাদের হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, সন্তান জন্ম দেওয়ার কোটা যারা পূরণ করে ফেলেছেন, তারা নির্বিজকরণ না করলে ক্যাম্পে সারাজীবনের জন্য বন্দি করে রাখা হবে। মহিলাদের জোর করে ওষুধ খাইয়ে রাখা হচ্ছে। কিছু মহিলাকে রাতের অন্ধকারে অপহরণ করে অস্ত্রপচার করা হয়েছে।
জেনজ কর্তৃক অধ্যয়ন করা গবেষণার যে সরকারি নথির উল্লেখ আছে তাতে আরও দেখা গেছে, এই অঞ্চলে কয়েকটি গ্রামীণ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলারা স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রায়শই বাধ্যতামূলক স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত পরীক্ষা এবং দ্বি-মাসিক গর্ভাবস্থা পরীক্ষার জন্য ডাক পান। গবেষণায় উঠে এসেছে, পশ্চিম জিন জিয়াংয়ের ইউঘুর মুসলিমদের সংখ্যা বছর বছর কমছে। তাদের এই বংশবৃদ্ধি'র উল্লেখযোগ্য হ্রাস সারা পৃথিবীতে আলোচনার বিষয়।
উইঘুর নেতাকর্মীরা বলছেন, চিন তাদের স্বতন্ত্র সংস্কৃতি ও ইসলামী পরিচয় নির্মূল করার লক্ষ্যে একটি বৃহত 'ব্রেইন ওয়াশিং অভিযান' পরিচালনা করতে ইন্টার্নমেন্ট ক্যাম্প ব্যবহার করছে। গবেষণায় জিনজিয়াং নিয়ে বেজিংয়ের নীতি মৌলিক দিক থেকে প্রতিনিধিত্ব করছে কিনা তা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জার্মান গবেষক। “জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুসারে জেনোসাইডের জনসংখ্যার পরিসংখ্যান হিসাবে চিহ্নিত করা যেতে পারে,” জেনজ রিপোর্টে বলেছে।
আরও পড়ুন- https://www.businessinsider.in/politics/world/news/china-is-forcibly-sterilizing-uighur-women-and-giving-them-unwanted-abortions-in-a-mission-to-purge-the-muslim-minority-report-says/articleshow/76691055.cms এই লিঙ্কে৷